এখন থেকে মায়ের পরিচয়েও স্কুলে যেতে পারবে সন্তান
২৪ জানুয়ারি ২০২৩এসএসসিতে মায়ের নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চেয়ে প্রায় এক দশক আগের করা এক রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের খবর অনুযায়ী রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ বছর আগে যখন রিট মামলাটি ফাইল করা হয়, তখন একজন শিক্ষার্থীকে অভিভাবক হিসেবে বাবার নাম উল্লেখ করতে হত, এরপর মায়ের নাম উল্লেখ করতে হত৷ ফলে একজন শিক্ষার্থী চাইলে বাবার নাম উল্লেখ না করে মায়ের নাম উল্লেখ করতে পারত না৷ "আজ শুনানি শেষে হাইকোর্ট বলেছে, বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবকের মধ্যে যে কোনো একটি উল্লেখ করে ফরম পূরণ করা যাবে৷”
আদালতে রুলের পক্ষে শুনানিতে আরো ছিলেন অ্যাডভোকেট এমএম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার৷ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত৷
শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ না করায় ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুণীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড৷
মা ও সন্তানকে স্বীকৃতি না দিয়ে বাবা চলে যাওয়ায় ওই তরুণী তার মায়ের একার চেষ্টায় বড় হচ্ছিলেন৷ পরে এই ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের ওপর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)', ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ' ও ‘নারী পক্ষ' হাইকোর্টে জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করে৷
রিটের প্রাথমিক শুনানি হয় ২০০৯ সালে ৩ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর বেঞ্চে৷ সে সময় আদালত রুল জারি করে৷
মানবাধিকার, সমতার পরিপন্থি ও বিশেষভাবে শিক্ষা অধিকারে প্রবেশগম্যতার বাধাস্বরূপ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এই বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থি এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না– তা জানতে চাওয়া হয় রুলে৷ সেই রুলের নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার রায় দিল আদালত৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)