এক সপ্তাহে প্রায় একশটি ভারতীয় বিমানে বোমাতঙ্ক

গত এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক ভারতীয় বিমানসংস্থার বিমানে বোমা রাখার হুমকি এসেছে। ফলে সেই বিমানগুলি হয় জরুরি অবতরণ করেছে বা উড়ানের আগে তা তন্ন তন্ন করে পরীক্ষা করা হয়েছে। ইন্ডিগো, ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া, আকাশ এয়ারলাইন্সের বিমানে বোমাতঙ্ক হয়েছে।

এই বোমাতঙ্ক দেশে ও বিদেশে ভারতীয় বিমানসংস্থার বিমানে হচ্ছে। গত সপ্তাহে মুম্বই থেকে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বোমা রাখা হয়েছে বলে হুমকি দেয়া হয়। বিমানটি ক্যানাডার একটি শহরে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে। এক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত ভারতের বিমানসংস্থার বিমানে বোমা রাখার ভুয়ো বার্তা আসছে।

জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে ভিস্তারার একটি বিমান বোমাতঙ্কের জন্য জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি দিল্লি থেকে লন্ডন যাচ্ছিল। সেই বোমা রাখা হয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে হুমকি দেয়া হয়। ফ্রাংকফুর্টে জরুরি অবতরণের পর বিমানটি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কিছু পাওয়া যায়নি। পরে তা আবার লন্ডন যাত্রা করে।

রোববার ভারতে ২৪টি বিমানে বোমা রাখার হুমকি দেয়া হয়। তার মধ্যে দেশের ভিতর ও বাইরের ফ্লাইট ছিল। ইন্ডিগো, ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া ও আকাশ এয়ারলাইন্সের বিমানে বোমা রাখা আছে বলে হুমকি দেয়া হয়। অধিকাংশ হুমকিই দেয়া হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।

মুম্বইতে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ককে এই বোমার হুমকি দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত যতগুলি হুমকি দেয়া হয়েছিল, তার সবগুলিই ভুয়া ছিল। তবে এই সব ক্ষেত্রে একটুও ঝুঁকি নেয়া হয় না। গত শুক্রবার অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, ভুয়া বোমাতঙ্কের পিছনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্র্যাংকস্টারদের হাত আছে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এই ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারা যাত্রীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং ভুয়া ভোমাতঙ্ক বন্ধ করতে চাইছে। সূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। একটা প্রস্তাব নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে, যারা এই হমকি দিচ্ছে, তাদের অপরাধ প্রমাণ হলে তারা ভবিষ্যতে বিমানে চড়তে পারবে না।