1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একটু খাবারের জন্য!

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরের শিশুরা খাবারের জন্য আবর্জনার স্তূপ ঘাঁটছে৷ উদ্দেশ্য– বিক্রি করার মতো কোনো জিনিস পেলে তা বেচে পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার কেনা৷

https://p.dw.com/p/3D0W6
ছবি: picture-alliance/AA/M. Abdullah

এমনই এক কিশোর সাবা আল জসিম প্রতিদিন একটা ছিপ নিয়ে আবর্জনার স্তূপে যায়৷ ছিপের আগায় লোহার টুকরো লাগানো থাকে৷ সেটা দিয়ে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বাছাই করে৷ এগুলো বিক্রি করে কয়েক ডলার পায়৷ আর তা দিয়েই ১১ সদস্যের পরিবারের খাওয়া জোটে৷

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে সে জানায়, ‘‘আমি আমার পরিবারকে সহায়তা করার জন্য এই কাজ করি৷ প্রতিদিন দুই ব্যাগ প্লাস্টিক সংগ্রহের চেষ্টা করি৷'' সিরিয়ায় ৮ বছর ধরে চলে আসা গৃহযুদ্ধের ফলে সাবা'র মতো অনেক শিশুই গৃহহীন৷ তারা স্কুলে যেতে পারে না৷ সাবা'র বাবা ভীষণ অসুস্থ৷ মা-ও চলাফেরা করতে অক্ষম৷ বড় ভাই পঙ্গু৷ ফলে বাকি ভাই-বোনরা এই আবর্জনা ঘেঁটেই সংসার চালায়৷

সিরিয়ার ইদলিবের এই অংশে অন্তত ৩০ লাখ মানুষের বাস৷ তাদের মধ্যে অর্ধেকই গৃহযুদ্ধের কারণে ঘর ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে৷ বেশিরভাগ মানুষই ত্রাণের উপর নির্ভরশীল৷ কিন্তু কাফর লাসিনে সাবা'র মতো ৫০টি পরিবার যেখানে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে ত্রাণ পৌঁছে না৷ ফলে এসব পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই আবর্জনা বিক্রি করে সংসার চালায়৷

তাদের একজন জানালো, প্লাস্টিকের আবর্জনা বিক্রি করে দিনে এক হাজার সিরিয়ান পাউন্ড বা ২ মার্কিন ডলার আয় হয়৷ এই অর্থ দিয়ে রুটি, আলু, সবজি কেনা গেলেও মাংস জোটে না তাদের কপালে৷

সাবা'র বাবা জানালেন, ‘‘যখন সন্তানরা আবর্জনার খোঁজে যায়, তখন নিজেকে খুব ছোট আর অসহায় লাগে৷ কিন্তু ওরা যদি এই কাজটা না করে তবে, আমাদের না খেয়ে মরতে হবে৷''

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, ‘‘সিরিয়ার ৬৫ লাখ মানুষ খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারে না৷'' ৮ বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ গৃহহীন হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি)