1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইগুর নিয়ে সোচ্চার ক্যানাডা, প্রতিবাদ চীনের

২৩ অক্টোবর ২০২০

উইগুর মুসলিমদের নিয়ে চীন গণহত্যার নীতি নিয়ে চলছে বলে জানাল ক্যানাডার সংসদীয় কমিটি। প্রতিবাদ চীনের।

https://p.dw.com/p/3kJYd
ছবি: AFP/G. Baker

চীনের উইগুর মুসলিমদের নিয়ে আবার সোচ্চার হলো ক্যানাডা। সে দেশের সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে উইগুর মুসলিমদের নিয়ে চীনের নীতির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উইগুরদের ধরে শিবিরে আটকে রাখা হয়, তাঁদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হয়, তাঁরা সবসময় রাষ্ট্রের নজরদারিতে থাকেন, তাঁদের জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণও করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উইগুরদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যার নীতি নিয়েছে। তারা উইগুরদের সংস্কৃতি ও ধর্ম মুছে দিতে চায়।

ক্যানাডার এই রিপোর্টের তীব্র বিরোধিতা করেছে চীন। বৃহস্পতিবার চীনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই রিপোর্ট ভিত্তিহীন। ক্যানাডা কখনোই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ক্যানাডার সংসদীয় কমিটি ওই এলাকার রাজনৈতিক স্থায়িত্ব, আর্থিক বৃদ্ধি, জাতিগত ঐক্য ও সামাজিক সৌহার্দ্যকে দেখেইনি।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, এই রিপোর্ট মিথ্যা ও ভুল তথ্যে ভরা। রিপোর্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে, কমিটির সদস্যরা এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

সাম্প্রতিক সময়ে ক্যানাডা ও চীনের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ২০১৮-র ডিসেম্বরে চীনের এক বড় টেলিকম কোম্পানির প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করে অ্যামেরিকার হাতে তুলে দেয় ক্যানাডা। চীনও ক্যানাডার এক সাবেক কূটনীতিক ও একজন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। অক্টোবরের গোড়ায় ক্যানাডার বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, চীন 'হোস্টেজ ডিপ্লোমেসি' করছে। গত কয়েক মাসে দুই দেশের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে। ক্যানাডা চীনের মানবাধিকার ভঙ্গ, হংকং, এবং উইগুরদের নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। চীন বলছে, ক্যানাডা এই ভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে উইগুর নিয়ে সংসদীয় রিপোর্ট দুই দেশের মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রে চলে এসেছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স)