1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলকে শাস্তি দেয়ার অধিকার আছে, দাবি ইরানের

৬ আগস্ট ২০২৪

ইরান জানিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির অবনতি চায় না, তবে ইসরায়েলকে শাস্তি দেয়ার অধিকার তাদের আছে।

https://p.dw.com/p/4j8za
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের হামলার পরের ছবি। গত ৪ অগাস্ট এই হামলা হয়।
লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল ও হেজবোল্লা একে অপরকে আক্রমণ করছে। এতেও উত্তেজনা বাড়ছে। ছবি: Ali Hashisho/XinHua/dpa/picture alliance

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কানানি বলেছেন, ''ইরান মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়িত্ব চায়। কিন্তুআগ্রাসনকারীকে শাস্তি দিলেই সেটা সম্ভব।''

কানানি বলেছেন, ''যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলকে সাহায্য করা বন্ধ রাখে এবং আগ্রাসনকারীকে শাস্তি দেয়ার বিষয়টি সমর্থন করে।''

ইরান জানিয়েছে, হামাস নেতা হানিয়াকে হত্যা করার দায় ইসরায়েলের। ইসরায়েল অবশ্য এই দায় স্বীকার করেনি। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল-সহ কয়েকটি দেশ।

তবে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লেবাননে তাদের ড্রোন হামলার ফলে বৈরুতের কাছে হেজবোল্লা কম্যান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে গত এপ্রিলে সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গনে ইসরায়েলের হামলার পর ইরান ইসরায়েলের উপর হামলা করে। কিন্তু তাদের প্রায় সব আক্রমণই ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিহত করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জর্ডন সেসময় ইসরায়েলকে সমর্থন করেছিল।

ইরানবের রেভলিউশনারি গার্ডের শীর্ষ কম্যান্ডার হোসেইন সালামি জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে উপযুক্ত সময়ে শাস্তি দেয়া হবে।

সাবেক রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানে

রাশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই শোইগু তেহরান পৌঁছেছেন। তিনি এখন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব। তিনি ইরানের নেতা ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করছেন।

কে হচ্ছেন হামাসের পরবর্তী নেতা?

রাশিয়ার সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে আর্থিক সম্পর্ক জোরদার করা নিয়েও কথা হয়েছে।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়া ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে। গত সপ্তাহে রাশিয়া হানিয়ার হত্যার নিন্দা করেছে এবং বলেছে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেছেন, তারা যেন ইরান, হিজবোল্লা এবং ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে সব পক্ষ সংযত থাকে।

ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযত থাকতে ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করার অনুরোধ করছেন। ইটালির হাতেই এখন জি৭-এর প্রেসিডেন্সি রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, সব দেশ যেন উত্তেজনা কমানোর জন্য সচেষ্ট হয়। তারা ওই তিন পক্ষের উপর প্রভাব খাটাবার চেষ্টা করে। 

জর্ডনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত রোববার তেহরান গিয়েছিলেন। তিনি রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লার একটি বার্তা ইরানের প্রেসিডেন্টের কাছে দেন।

যদি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে গুরুতর সংঘাত দেখা দেয়, তাহলে জর্ডনের আকাশসীমা লংঘিত হতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকছে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)