ইরান-চীন সম্ভাব্য চুক্তি: সরকার খুশি, জনগণ অখুশি?
চীনের সঙ্গে ২৫ বছরের এক চুক্তি করতে চলেছে ইরান৷ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সদা সমালোচিত এই দুই দেশের চুক্তি ইরানের জনগণ সানন্দে গ্রহণ করবে কিনা সেটাও এখন প্রশ্ন৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
চুক্তির খুব কাছাকাছি
কয়েকদিন আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ জানান, চীনের সঙ্গে ইরানের ২৫ বছরের একটা কৌশলগত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি, তারা চীন-ইরান আলোচনার কিছু ডকুমেন্ট পেয়েছে৷ ফার্সি ভাষায় লেখা সেই কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশ দুটি এখন চুক্তি সম্পাদনের দ্বারপ্রান্তে৷
কী থাকবে চুক্তিতে?
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, সামরিক সহযোগিতার বিষয়াদিও থাকবে দ্বিপাক্ষিক এই চুক্তিতে৷
পারস্পরিক স্বার্থ
চীন ইরানকে দেখছে নিজস্ব পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ বাজার এবং তেলের উৎস হিসেবে৷ ইরান মনে করে, এই চুক্তির ফলে ইরানে চীনের বিনিয়োগ বাড়বে এবং দেশটির অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অর্থনৈতিক অবরোধের চাপ কমবে৷
পারস্পরিক মিল
মানবাধিকারের প্রশ্নে চীন আর ইরান সবসময়ই সমালোচিত৷ ধারণা করা হয়, সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় চীনে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধেও সে দেশের সরকার সবসময় তৎপর৷ সাম্প্রতিক সময়ে উইগুর মুসলমানদের ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগের মুখেও রয়েছে চীন৷ ইরানেও মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব খারাপ৷ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দমন-পীড়ন সেখানে প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা৷
চীনের প্রতি ইরানি জনগণের মনোভাব
চীনের পণ্য ইরানি শিল্পোদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে৷ এছাড়া করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়ানোর জন্য চীনকে দায়ী মনে করেন অনেক ইরানী৷ ট্যুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ও তুলনামূলক রাজনীতির সিনিয়র প্রভাষক আলী ফাতোল্লাহ-নেজাদ মনে করেন, এসব কারণে চীনের সঙ্গে চুক্তিকে ইরানের জনগণের বড় একটা অংশ ভালো চোখে না-ও দেখতে পারে৷ এর ফলে ইরান সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি৷