ইরাক যুদ্ধের দশ বছর পর
দশ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক দখল করেছিল৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে কী পরিবর্তন এসেছে?
সমস্যা আছেই
যুদ্ধ শেষে পুনর্গঠন কাজে বিভিন্ন দেশ থেকে ইরাকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাঠানো হলেও সাধারণ মানুষের জীবনের উন্নতি হয় নি৷ এখনো পানি, বিদ্যুত সহ মৌলিক চাহিদার তীব্র সংকট রয়েছে সেখানে৷ রয়েছে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের উচ্চহার৷
ইরাকি শরণার্থী
যুদ্ধের কারণে ইরাকের যেসব জনগণ পালিয়ে সিরিয়া চলে গিয়েছিল, তারা এখন ফিরতে শুরু করেছে৷ তবে জাতিসংঘের হিসেবে, এখনো প্রায় ১২ লক্ষ ইরাকি গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে৷
অসংখ্য চেকপয়েন্ট
প্রতি পাঁচ ইরাকির একজনের বাস রাজধানী বাগদাদে৷ প্রতিদিন তাঁদের অসংখ্য চেকপয়েন্ট পার হতে হয়৷ জনগণের নিরাপত্তার জন্যই এগুলো বসানো হয়েছে৷ তবে এখনো কমেনি সহিংসতা৷ মঙ্গলবারও গাড়ি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত হয়েছে৷
বাড়ছে নিহতের সংখ্যা
২০১২ সালে ৪,৫৬৮ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে৷ তার আগের বছর সংখ্যাটা ছিল ৪,১৪৪৷ ‘ইরাক বডি কাউন্ট’ নামের একটি সংস্থা নিয়মিত মৃত্যুর হিসেব রেখে যাচ্ছে৷
নারী শিক্ষার দুরবস্থা
সত্তরের দশকে ইরাকের মেয়েদের সবাই শিক্ষিত ছিল৷ এখন সেই হার ৪০’এ নেমে এসেছে৷ এছাড়া বেড়েছে শিশুদের বিয়ে দেয়ার ঘটনা৷
তেজস্ক্রিয়তার শিকার
হিরোশিমা, নাগাসাকি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়৷ তার চেয়েও বেশি সংখ্যক ইরাকি তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্যান্সার, লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে৷ এছাড়া বাড়ছে শিশু মৃত্যুর হার৷
ইরাকের আরব বসন্ত?
হাজার হাজার সুন্নি বিক্ষোভকারী গত ডিসেম্বর থেকে সুন্নি অধ্যুষিত ইরাকে নিয়মিত আন্দোলন করে আসছে৷ যার শুরু ২০১১ সালে আরব বিশ্বে ঘটে যাওয়া আরব বসন্তের সময়৷ উল্লেখ্য, ইরাকে বর্তমানে ক্ষমতায় শিয়াদেরই প্রাধান্য৷