1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকট সমাধানে ম্যার্কেল

২৩ আগস্ট ২০২১

জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে বিদায় নেবার আগে মস্কো ও কিয়েভ সফর করে সংঘাতের সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছেন ম্যার্কেল৷ তবে পুটিন ও জেলেনস্কি কোনও ইতিবাচক সাড়া দেননি৷

https://p.dw.com/p/3zMki
Ukraine | Angela Merkel in Kiew
ছবি: Sergey Dolzhenko/Pool Photo/AP/picture alliance

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পর বিদায়ের সিদ্ধান্তের আগেই যেন কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ একেবারে শেষ মুহূর্তে কোনো বড় সাফল্য তার ভাবমূর্তি আবার উজ্জ্বল করে তুলতে পারে৷ সেই চেষ্টা চালাতে তিনি সপ্তাহান্তে মস্কো ও কিয়েভ সফর করলেন৷ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে চলে আসা সংঘাত ও জটিল সম্পর্কের জট অন্তত  কিছুটা ছাড়াতে পারলেও তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে, এমনটাই আশা করছেন ম্যার্কেল৷ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন এবং ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ বেদখলের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে ইউরোপে রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহের ভবিষ্যৎ বর্তমানে কিয়েভে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে৷

তবে এই সংকট মেটানোর প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে নিজেকে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরতে পারছেন না ম্যার্কেল৷ ইউক্রেনকে এড়িয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে ‘নর্ড স্ট্রিম ২' নামের প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে৷ জার্মানি, ইউরোপ, অ্যামেরিকা ও ইউক্রেনে এই প্রকল্পকে ঘিরে চরম বিতর্ক সত্ত্বেও এর পক্ষে সমর্থনে অবিচল রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ইউক্রেনের ‘ক্ষতিপূরণ' হিসেবে সে দেশে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির উন্নতির লক্ষ্যে বিশাল অংকের তহবিল গড়ার উদ্যোগও কিয়েভের মন জয় করতে পারছে না৷

এমন প্রেক্ষাপটে রোববার কিয়েভ সফরে গিয়ে ম্যার্কেল ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে এক বহুপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি রাশিয়া, ইউক্রেন, ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের প্রস্তাব দেন৷ উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পরিকল্পনা সত্ত্বেও এমন উদ্যোগ কার্যকর করা সম্ভব হয় নি৷ ম্যার্কেল ও জেলেনস্কি রাশিয়ার উদ্দেশ্যে ‘নর্ড স্ট্রিম ২' প্রকল্পকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার' হিসেবে অপব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ অ্যামেরিকার সঙ্গে বোঝাপড়া অনুযায়ী ম্যার্কেল প্রয়োজনে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকিও দিয়েছেন৷ জেলেনস্কি বলেন, শুধু ইউক্রেন নয় গোটা ইউরোপের জন্য এই পাইপলাইন বিপজ্জনক হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে৷

রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের মূল ট্রানজিট হিসেবে ইউক্রেনের গুরুত্ব কমেই চলেছে৷ ‘নর্ড স্ট্রিম ১' পাইপলাইন এবং জাহাজের মাধ্যমে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে৷ ফলে ট্রানজিট ফি বাবদ ইউক্রেনের আয়ও কমে চলেছে৷ শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন মস্কোয় ম্যার্কেলকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যে ২০২৪ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পর বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে৷ ফলে ম্যার্কেলের প্রস্থানের পর ইউক্রেন এ ক্ষেত্রে কোনো আশ্বাস পাচ্ছে না৷

 

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য