ইউক্রেনে পৌঁছালো এফ-১৬ যুদ্ধবিমান
২ আগস্ট ২০২৪ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনে থাকা রাশিয়ার সেনাবাহিনী যে কোনো দিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়ে দেবে।
অ্যামেরিকা অবশ্য় সরাসরি এফ-১৬ ফাইটার জেট ইউক্রেনের হাতে তুলে দেয়নি। কারণ, নিয়ম মতো সে কাজ তারা করতে পারে না। অ্যামেরিকা এই যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডসকে। এই দুই দেশ প্রথম ব্য়াচের এফ-১৬ বিমান পাঠিয়েছে ইউক্রেনকে। ডেনমার্ক ইউক্রেনকে সব মিলিয়ে ১৯টি এফ-১৬ দেবে বলেছিল। নেদারল্য়ান্ডস বলেছিল ২৪টি। তারই প্রথম ব্য়াচের বিমান পৌঁছেছে। নরওয়ে এবং বেলজিয়ামও ইউক্রেনকে এফ-১৬ দেবে বলে জানিয়েছে।
সাধারণত এফ-১৬ চালানোর জন্য় তিন বছরের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কিন্তু ইউক্রেনের ফাইটার পাইলটদের নয় মাসের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার বক্তব্য
ক্রেমলিনের বক্তব্য, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান যুদ্ধের ধারা বদলাতে পারবে না। প্রতিটি এফ-১৬ বিমান সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করা হবে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ১৩০টি এফ-১৬ বিমান প্রয়োজন তার। যার সাহায্যে ইউক্রেনের আকাশ নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে। তিনি মনে করেন, এফ-১৬ বিমান আকাশে টহল দিতে শুরু করলে রাশিয়ার বোমারু বিমান ইউক্রেনের আকাশে প্রবেশ করতে পারবে না।
বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা চায় না ইউক্রেন
২৯ মাস ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়ার। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তা নাকচ করে দিয়েছেন। জেলেনস্কি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা তিনি চান না।
জেলেনস্কির বক্তব্য, ''চীন চাইলে রাশিয়ার উপর চাপসৃষ্টি করতে পারে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য। আমরা বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা চাই না। বেইজিং রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলুক।''
সম্প্রতি সুইজারল্য়ান্ডে ইউক্রেন একটি শান্তি বৈঠক ডেকেছিল। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে রাশিয়াকে ডাকা হয়নি। রাশিয়াকে ডাকা হয়নি বলেই সম্ভবত চীন তাতে যোগ দেয়নি। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগে চীন গেছিলেন। সেখানেও যুদ্ধের নিন্দা করেনি বেইজিং। বরং পরবর্তীকালে রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল এবং গ্য়াস কিনেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)