1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ইউক্রেনে পরমাণু চুল্লির আগুন নিভেছে

৪ মার্চ ২০২২

রাশিয়ার গোলায় আগুন লেগেছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু চুল্লিতে। তবে রেডিয়েশনের মাত্রা বাড়েনি।

https://p.dw.com/p/47z4K
পরমাণু চুল্লি
ছবি: Photoshot/picture alliance

ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু চুল্লি ইউক্রেনে। বস্তুত, দেশের তিনটি পরমাণু চুল্লি থেকে গোটা ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় চুল্লিটি জাপোরিজ্ঝিয়ায়। শুক্রবার সকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার গোলায় সেই চুল্লিতে আগুন লেগে যায়। কিন্তু প্রকল্পের সামনে প্রবল লড়াই চলতে থাকায় দমকলকর্মীরা এলাকায় ঢুকতে পারছেন না। 

তবে ঘণ্টাখানেক পরে এলাকার মেয়র জানান, আগু ন নেভানো সম্ভব হয়েছে। ঘটনায় হতাহত নেই। রেডিয়েশনের মাত্রাও আশঙ্কাজনক স্তরের উপরে যায়নি।

অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি সকালেই জানিয়েছিল, আগুন লাগলেও চুল্লির রেডিয়েশনের মাত্রা বাড়েনি। একাধিক স্তর তৈরি করে রাখায় আগুন গভীরে পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু দ্রুত আগুন নেভানো প্রয়োজন।

শহরের মেয়র দিমিত্রি ওরলোভ জানিয়েছেন, দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে যাওয়ার জন্য সকাল থেকেই তৈরি ছিলেন। কিন্তু প্রকল্পের খুব কাছে তীব্র লড়াই হওয়ার ফলে তারা সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না। পরে অবশ্য দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করতে পেরেছেন। রাশিয়ার গোলাবর্ষণের ফলেই আগুন লেগেছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

নিউক্লিয়ার ফুয়েল পর্যন্ত আগুন পৌঁছে গেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। ইউক্রেনের দাবি, একবার সেখানে আগুন লেগে গেলে চেরনোবিলের চেয়েও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। পরমাণু চুল্লিতে আগুন লাগার পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দ্রুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের কাছে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন।

ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টজো বাইডেনও জেলেনস্কিকে যোগাযোগ করেন। আগুনের বিষয়ে তিনি হোয়াইট হাউসের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। বাইডেনও পুটিনের কাছে লড়াই বন্ধের আবেদন জানান। দ্রুত যাতে পরমাণু চুল্লির আগুন নেভানো যায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখার আর্জি জানান। কিন্তু পুটিন সরাসরি কোনো জবাব দেননি।

এদিন পরমাণু চুল্লির আগুন নিয়ে একাধিক টুইট করেছে হোয়াইট হাউস। বাইডেন এবং জেলেনস্কির আলোচনার কথা সেখানে বলা হয়েছে।

এদিকে গোটা ইউক্রেন জুড়েই তীব্র লড়াই চলছে। পুটিন জানিয়েছেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনো দেখেনি ইউক্রেন। অদূর ভবিষ্যতে দেখবে। সেখানে নিও নাৎসিদের পরাস্ত করা হবে বলে বৃহস্পতিবার হুমকি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। কোনোভাবেই যে তিনি হামলা বন্ধ করবেন না, তা স্পষ্ট করে দেন। বরং, হামলা আরো শক্তিশালী হবে বলেই হুমকি দেন তিনি। এখনো পর্যন্ত একটিমাত্র শহর রাশিয়া দখল করতে পেরেছে। শহরটির নাম খেরসন। খারকিভ-সহ একাধিক শহরে তীব্র লড়াই চলছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)