আসাম নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্যানেলের সুপারিশ, ১৯৫১ বা তার আগে থেকে যাঁরা সেখানে আছেন, তাঁরাই মূল বাসিন্দা। এই সুপারিশ মানা হলে আসামে বিপুল সংখ্যক বাঙালি চরম বিপাকে পড়বেন।
আসাম চুক্তি অনুযায়ী কাট অফ ইয়ার বা ভিত্তিবর্ষ হলো ১৯৭১ সাল। সেই বছর ২৪ অগাস্টের আগে যাঁরা আসামে এসেছেন, তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। নাগরিকত্ব আইনেও ১৯৭১-কেই ভিত্তিবর্ষ হিসাবে মানা হয়েছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্যানেলের সুপারিশ হলো, অসমীয় হিসাবে (অসমীয়, অর্থাৎ যারা আসামে বসবাস করেন) তাঁদেরই স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যাঁরা ১৯৫১ বা তার আগে থেকে আসামে আছেন। আর তাঁরা সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন। জমি কেনার পূর্ণ অধিকার তাঁদেরই থাকবে। ভোটে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রেও ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ সংরক্ষণ তাঁদের জন্য থাকবে। এই সব সুপারিশ নিয়েই ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিয়েছে আসামে।
আসাম চুক্তির ৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছিল, সেখানকার লোকেদের ভাষা, সংস্কৃতি, সামাজিক পরিচয় রক্ষা করার জন্য আইনগত, প্রশাসনিক, সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকবে। কিন্তু অসমীয় কারা, তাঁদের জন্য কী রক্ষাকবচ থাকবে, তা বলা হয়নি। সেটা চিহ্নিত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটা প্যানেল তৈরি করেছিল। তারা গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারকে রিপোর্ট দেয়। সরকার তা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করছিল না। দিন কয়েক আগে কমিটির চারজন সদস্য এই রিপোর্টের সুপারিশ ফাঁস করে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সুপারিশ রূপায়নে এত দেরি হচ্ছে দেখে তাঁরা তা জনসমক্ষে নিয়ে এলেন।
-
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
যা চায় বিজেপি সরকার
নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনার শেষ নেই৷ তারপরও এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি শুরু করেছে বিজেপি সরকার৷সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, সবাইকে থাকতে হবে না, যারা নাগরিকত্ব প্রমাণ করার কাগজপত্র দেখাতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হবেন শুধু তাদেরই রাখা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে৷
-
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
এনআরসির সমালোচনা
সমালোচকদের আশঙ্কা, হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি এনআরসির মাধ্যমে আসলে মুসলমানদের একাংশের নাগরিকত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়৷ ভারতের বিরোধীদলগুলো সরকারের এ উদ্যোগের সমালোচনায় মুখর৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এনআরসি-র সমালোচনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷
-
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
বন সাফ করে ডিটেনশন ক্যাম্প
চা-শিল্পের জন্য বিখ্যাত আসাম রাজ্যের গোয়ালপাড়ার পাশের বিশাল বনাঞ্চলে গাছ কেটে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ এনআরসি থেকে বাদ পড়া অনেক দরিদ্র মানুষ শ্রমিকের কাজ করছেন সেখানে৷ হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ায় শ্রম দিচ্ছেন৷
-
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
কতজন থাকবেন ভারতের প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্পে?
ডিটেনশন ক্যাম্পের শ্রমিক এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে রয়টার্স জানিয়েছে, গোলাপাড়ার এই ক্যাম্পে থাকতে পারবেন তিন হাজার অবৈধ অভিবাসী৷ ইতিমধ্যে আসামের জেলে রাখা হয়েছে ৯০০ জনকে৷ প্রথমে তাদের নিয়ে আসা হবে এই ক্যাম্পে৷
-
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
ক্যাম্পে যা যা থাকবে
ক্যাম্পের চারপাশে থাকবে ১০ ফুট উঁচু দেয়াল৷ ভেতরে গড়ে তোলা হবে একটি স্কুল, একটি হাসপাতাল, একটি বিনোদনকেন্দ্র এবং অবৈধ অভিবাসী আর নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আলাদা আবাসন৷ নারী এবং পুরুষ অবৈধ অভিবাসীদের জন্য গড়ে তোলা হবে আলাদা ঘর৷
-
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
কাজ করতে আগ্রহী অনেকে
গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে ঠিকাদারির কাজ পেয়েছেন শফিকুল হক৷ তিনি জানালেন, ক্যাম্প তৈরির কাজে লোকের অভাব হচ্ছে না, কারণ, ‘‘আশপাশের গ্রামগুলো থেকে প্রতিদিন অনেকে এসে কাজ চাইছেন৷’’
-
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
অনেকেই অশিক্ষা আর অসচেতনতার শিকার
দুই আদিবাসী নারী শেফালি হাজং এবং মালতি হাজংও সেখানে কাজ পেয়েছেন৷ এনআরসি থেকে দুজনই বাদ পড়েছেন৷ বাদ পড়ার কারণ তাঁরাও জানেন৷ দু’জনেরই জন্মনিবন্ধন হয়নি৷ নিজের বয়স বলতে পারেন না তাঁরা৷ নিজের বাড়ির দলিলও নেই তাঁদের কাছে৷ ফলে নিজেদের হাতে গড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে তাঁদেরও ঠাঁই হতে পারে৷ তা জেনেই কাজ করছেন তাঁরা৷ কেন? শেফালি হাজংয়ের উত্তর, ‘‘পেট তো ভরতে হবে আমাকে!’’
তারপরেই শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক এবং আতঙ্ক। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ এক্সাইজ অ্যান্ড কাস্টমসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং পারিবারিকসূত্রে শিলচরের মানুষ সুমিত দত্ত মজুমদার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''১৯৫১ সালকে ভিত্তিবর্ষ হিসাবে নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে। সে সময়ে আসামে কারা ছিলেন তা ঠিক হতে পারে ১৯৫১ সালের এনআরসি-র ভিত্তিতে। কিন্তু সেই এনআরসিতে আসামের অনেক এলাকা ধরা নেই।''
সমস্যাটা আরো গভীর। ১৯৫১ সালকে ভিত্তিবর্ষ করলে সেই সময় থেকে শুরু করে ১৯৭১ পর্যন্ত যাঁরা আসামে গেছেন, থাকছেন, তাঁদের কী হবে? এঁদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষই বাঙালি। হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই আছেন। আসাম চুক্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সুপারিশ মানলে নাগরিক থাকলেও তাঁরা আসামে সরকারি চাকরি পাবেন না। ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। জমির মালিকানা নিয়েও সমস্যা হবে। তা হলে তাঁদের অবস্থাটা কী দাঁড়াবে? যোজনা কমিশনের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আমলা, লেখক এবং আহোম রাজাদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করা অমিতাভ রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা মানলে আসাম চুক্তি থেকে সরে যেতে হবে। এর ফলে আসাম আবার অগ্নিগর্ভ হবে।''
অসমীয়া প্রতিদিনের প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্তও মনে করেন, এর ফলে নিঃসন্দেহে আসামে উত্তেজনা বাড়বে। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''বরাক উপত্যকায় ইতিমধ্যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ৭১-কে ভিত্তিবর্ষ হিসাবে মেনে নিয়েই তো আসাম চুক্তি হয়েছিল। তারপর এখন অসমীয় কারা তা নির্ধারণ করতে ভিত্তিবর্ষ কুড়ি বছর পিছিয়ে দেওয়া মানে আসামে আগুন জ্বলার রাস্তা পরিষ্কার করা।''
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৪৭
ব্রিটিশ শাসন শেষে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়৷ ঐ ঘটনায় লাখ লাখ মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া শুরু করে৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৪৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৫১
আসাম রাজ্যের জন্য প্রথম নাগরিকপঞ্জি তৈরি করে ভারত সরকার৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৫৫
নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়৷ জন্ম, উত্তরাধিকার ও নিবন্ধনসূত্রে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার নীতিমালা প্রণীত হয়৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৬১
পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষকে আসাম ছেড়ে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করা হয়৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৬৪
পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু-পাকিস্তান দাঙ্গার কারণে বাঙালি হিন্দুরা ভারতে চলে যান৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৬৫
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে আরও শরণার্থী আসাম হয়ে ভারতে যায়৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৭১
স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়৷ এই সময় নতুন করে আরও শরণার্থী ভারতে চলে যান৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৮৩
লালুঙ সম্প্রদায়ের হাতে দুই হাজারের বেশি বাঙালি অভিবাসী প্রাণ হারান৷ এক আইনে বলা হয়, যারা ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আসামে ঢুকেছে তারা দশ বছরের জন্য ভোটাধিকার হারাবে৷ যারা ২৪ মার্চ ১৯৭১ সালের মধ্যে আসামে ঢোকার প্রমাণ দিতে পারবেন না, তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
১৯৮৫
আসাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ এর আওতায় ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারির পর যারা ভারতে গেছেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
২০০৩
নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন অনুযায়ী, ১৯৫০ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া যে কেউ এবং ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় বাবা-মার ঘরে জন্ম নেয়া শিশু ভারতের নাগরিক বলে গণ্য হবে৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
২০১৩
সুপ্রিম কোর্ট আসামের রাজ্য কর্তৃপক্ষকে নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদ করার নির্দেশ দেন৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
২০১৫
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে রাজ্য কর্তৃপক্ষ গণনা ও নাগরিকদের ভেরিফাই করা শুরু করে৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
২০১৬
পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
২০১৭
আসামের নতুন নাগরিকপঞ্জির প্রথম খসড়া প্রকাশ করা হয়৷ এতে আবেদন করা তিন কোটি ২৯ লাখ মানুষের মধ্যে এক কোটি ৯০ লাখের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
২০১৮
দ্বিতীয় খসড়ায় দুই কোটি ৮৯ লাখের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়৷ বাদ পড়েন প্রায় ৪০ লাখ জন৷
-
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
২০১৯
৩১ আগস্ট শনিবার চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হবে৷ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷
সুমিতবাবুর মত হলো, ''বরাক উপত্যকায় এর ফলে হয়ত পৃথক রাজ্যের দাবি জোরদার হবে। সেটা হলে ব্রহ্মপুত্র ভ্যালিতে যে বাঙালিরা আছেন, তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।'' আশিস গুপ্তের মতে, ''আসামে আর এক বছর পরে ভোট। তার আগে এই বিষয়টি এইভাবে নিয়ে আসার মানে এর ভিত্তিতেই ভোট করার চেষ্টা। সরকারের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিয়ে লোকের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রয়াস।''
আসামে বারবার বাঙালি মুসলিমদের নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। সুমিতবাবু জানিয়েছেন, ''মুসলিমরা আসামে এসেছেন ১৬১৫ সাল থেকে এবং প্রথম দফায় তাঁদের আসামে আসা বজায় থাকে ১৬৬২ সালে মীরজুমলার সময় পর্যন্ত। তারপর স্যার সৈয়দ সাহদুল্লাহ ১৯৩০-এর দশকে মুসলিমদের আসামে এসে বসবাস করার জন্য উৎসাহিত করেন। ফলে আসামে মুসলিমদের আসার একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে।''
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্যানেলের রিপোর্ট মানলে বাঙালি হিন্দু ও মুসলিম সকলেই বিপাকে পড়তে বাধ্য বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাছাড়া আসামে রাজবংশী, বোড়ো থেকে শুরু করে প্রচুর জনজাতি আছে, যাঁদের ভাষা আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা, পরিচয় আলাদা। তাঁদের কী হবে?
প্রশ্ন হলো, এই সুপারিশ কি সরকার গ্রহণ করবে? সেই জবাব ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মানছেন, এই বিতর্কের ফলে আসাম আবার অশান্ত হতে পারে। সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।