আল-কায়দা নেতা আনোয়ার আওলাকি নিহত
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১আনোয়ার আওলাকি ২০০৭ সাল থেকে ইয়েমেনে অবস্থান করছিল৷ মার্কিন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখার ‘‘এক্সটার্নাল অপারেশন্স’’ প্রধান ছিল সে৷ মার্কিন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থানে আল-কায়েদার হামলার পরিকল্পনায় তার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়৷ বার্তাসংস্থাগুলো বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজে আওলাকিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তবে ঠিক কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি নিয়ে একাধিক তথ্য রয়েছে৷ নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানাচ্ছে, মার্কিন-ইয়েমেনের যৌথ বিমান হামলায় নিহত হয়েছে আনোয়ার আওলাকি৷ এসময় তার সহযোগী আরো আট-দশজন নিহত হয়৷ ইয়েমেনের রাজধানী সানা'র পশ্চিমের একটি এলাকায় দুটি গাড়িতে বিমান হামলায় প্রাণ হারায় তারা৷ তবে এপি জানাচ্ছে, মার্কিন মনুষ্যবিহীন ড্রোন বিমানের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে আওলাকি৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওলাকিকে আখ্যা দিয়েছে আরব উপদ্বীপের অন্যতম শীর্ষ আল-কায়েদা নেতা হিসেবে৷ ফোর্ড হুট সেনা সদরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এছাড়া ২০০৯ সালের ক্রিসমাসে ডেট্রয়েটগামী বিমানে হামলা চেষ্টা এবং টাইমস স্কোয়্যারে ব্যর্থ বোমা হামলার সঙ্গেও আওলাকি জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়৷ মার্কিনগামী বিমানে কার্টিজ বোমা রাখার পেছনেও আরব উপদ্বীপের আল-কায়েদা জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়৷
নব্বইয়ের দশকে সান দিয়াগো মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করে আওলাকি৷ সেসময় তাঁর নসিহতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দু'জন পরবর্তীতে নাইন-ইলেভেন সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে৷ আওলাকি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল সময়ের মধ্যে কয়েকমাস যুক্তরাজ্যেও কাটিয়েছে৷
আওলাকি'র মৃত্যু প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি৷ তবে একাধিক বার্তাসংস্থা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে৷ বলে রাখা ভাল, এর আগে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০১০ সালের নভেম্বরে দুই বার আওলাকি নিহত হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল৷ গত মে মাসে ইয়েমেনের দক্ষিণে আওলাকিকে লক্ষ্য করে মার্কিন ড্রোন বিমান হামলায় প্রাণ হারায় অপর দুই আল-কায়দা সদস্য৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম/এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন