আলাস্কা থেকে টরেন্টো – সাইকেলে সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল
দুই বাংলাদেশি এবং এক অস্ট্রেলীয় সাইক্লিস্ট পাড়ি দিয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল৷ উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে ক্ষতিকর আবর্জনা কমাতে সচেতনতা তৈরি৷ যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে ক্যানাডার টরেন্টো অবধি সেই যাত্রা নিয়ে ছবিঘর৷
কনক, সারাহ এবং মামুন
বাংলাদেশের সাইক্লিস্ট মুনতাসির মামুন এবং কনক আদিত্য৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু সারাহ জেন সল্টমার্শ৷ এই তিন অভিযাত্রী জুনের ১৬ তারিখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে শুরু করেন সাইকেল যাত্রা৷
ভ্রমণপ্রেমী মুনতাসির মামুন
দু’বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল থেকে পূর্ব উপকূল সাইকেলে পাড়ি দিয়েছিলেন অভিযাত্রী দল কেওক্রাডং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মুনতাসির মামুন৷ বাংলাদেশি এই সাইক্লিস্টের দীর্ঘ পথ সাইকেলে পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা তাই আগেই ছিল৷ তবে বাকি দু’জন এক্ষেত্রে একেবারে আনকোরা৷
সংগীত শিল্পী কনক আদিত্য
ব্যান্ড জলের গানের সদস্য কনক আদিত্য (ছবিতে বামে)৷ বাংলাদেশের অন্যতম দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, আলাস্কা থেকে টরেন্টো – এই সাইকেলে যাত্রার আগে অভিজ্ঞতা বলতে ছিল টানা চল্লিশ কিলোমিটার সাইকেলে যাত্রা, মানে ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত৷
নবীন সারাহ জেন সল্টমার্শ
ঢাকায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-তে চাকরি করেন সারাহ জেন সল্টমার্শ৷ দীর্ঘ পথ সাইকেল চালানোর কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না তাঁর৷ তবুও প্লাস্টিক আবর্জনা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই যাত্রায় অংশ নেন তিনি৷
নব্বই দিনের যাত্রা
সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল সাইকেলে পাড়ি দিতে এই অভিযাত্রী দল সময় নিয়েছেন ৯০ দিনের মতো৷ পথে বিশ্রাম করেছেন, ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করেছেন সংগীতের মাধ্যমে৷ জলের গানের কনক আদিত্য সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেলন বাদ্যযন্ত্রও৷
ভল্লুকের ভয়
মুনতাসির মামুন জানিয়েছেন, দীর্ঘ যাত্রা পথে তারা ভালুক বা ভল্লুক নিয়ে খানিকটা ভীত ছিলেন৷ রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে সতর্ক বার্তাও চোখে পড়েছে তাঁদের৷ তবে ভল্লুকের সঙ্গে কয়েকবার সাক্ষাৎ হলেও কোনো অঘটন ঘটেনি৷
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
সাইকেল ভ্রমণ নিয়ে ফেসবুক এবং ফ্লিকারে অসংখ্য ছবি প্রকাশ করেছে অভিযাত্রী দল৷ সেসব ছবির একটি এটি৷ মাউন্ট রবসনের এই সৌন্দর্য্য অভিযাত্রীদের করেছে উজ্জীবিত, যুগিয়েছে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা৷
ভ্রমণের পাশাপাশি প্রচারণা
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিন অভিযাত্রীর এই লম্বা যাত্রার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে ক্ষতিকর আবর্জনা কমাতে সচেতনতা তৈরি৷ যাত্রাপথে তাই বিভিন্ন প্লাস্টিক আবর্জনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা৷ এরপর সেগুলোর ছবি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে যোগ করেছেন একটি অনলাইন ম্যাপে৷
সেলফি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলুন, আর এই তিন অভিযাত্রী – ‘সেলফি’ ছাড়া আজকাল কি চলে! আলাস্কা হাইওয়েতে তোলা হয়েছে এটি৷
ট্রাশম্যানিয়াক
সেপ্টেম্বরে সফল সাইকেল যাত্রা শেষে তিন অভিযাত্রী ফিরে গেছেন বাংলাদেশে৷ তাঁদের অভিযান সম্পর্কে আরো ছবি এবং তথ্য রয়েছে ট্রাশম্যানিয়াক ওয়েবসাইটে৷