আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে বয়স নির্ধারণ
২২ জানুয়ারি ২০১৯জার্মানিতে আসা অপ্রাপ্তবয়স্ক (বয়স ১৮ বছরের নীচে) ও অভিভাবকবহীন শিশুদের জার্মানি থেকে বিতাড়ন করা হয় না৷ এছাড়া জার্মানিতে আসা মাত্রই তাদের জন্য পড়ালেখা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়৷
এই সুযোগ নিতে অনেকে তাদের বয়স কমিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তাই প্রকৃত বয়স নির্ধারণে প্রথমে এক্স-রে পদ্ধতি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ কিন্তু জার্মানির চিকিৎসকদের সংগঠন এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়৷ তারা বলেছে, নীতিগত ও চিকিৎসাজনিত কারণে এই পদ্ধতি সমর্থন করা যায় না৷ এক্স-রে পদ্ধতিতে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় রশ্মির কারণে শরীরের ক্ষতি হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা৷ তাছাড়া এক্স-রে'র মাধ্যমে পাওয়া তথ্য কতটা নির্ভুল তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে৷
এই অবস্থায় আলট্রাসাউন্ডের দ্বারস্থ হতে চাইছে জার্মানি৷ এর মাধ্যমে প্রকৃত বয়স নির্ধারণ করা যায় কিনা তা জানতে একটি গবেষণায় এক মিলিয়ন ইউরো দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷
২০২০ সাল নাগাদ গবেষণার ফলাফল জানা যেতে পারে৷
চিকিৎসকদের সংগঠন বিএকে'র প্রধান ফ্রাংক উলরিশ এক্স-রে'র পরিবর্তে আলট্রাসাউন্ড ব্যবহারের চিন্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে এর ফলে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা এখনো নির্ধারিত হয়নি বলেও ডয়চে ভেলেকে জানান তিনি৷
এক্স-রে'র চেয়ে আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি ভালো বলে প্রমাণিত হলেও শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘প্রো-অ্যাসাইল'এর ব্যার্ন্ড মেসোভিচ এভাবে বয়স নির্ধারণ সমর্থন করছেন না৷ শুধুমাত্র মামলা ও চিকিৎসাজনিত কারণে এক্স-রে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকহীন শিশুদের অপরাধীদেরশ্রেণিতে ফেলে দিচ্ছেন৷''
মেসোভিচ বলেন, ‘‘১৯ কিংবা ২০ বছরের কয়েকজন, যারা তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছে, তারা যদি বয়সের তথ্য ভুল দিয়ে জার্মানিতে শিক্ষিত হওয়ার ও জার্মান সমাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে সেটা, তাদের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাওয়ার চেয়ে ভালো৷''
কেট ব্র্যাডি/জেডএইচ