আরজি কর-কাণ্ড : আদালতের নির্দেশের পরই সিবিআই তদন্ত শুরু
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল মঙ্গলবার, বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে ২৫ সদস্যের সিবিআই দল রাজ্যে এলো।
অভিযুক্তকে হস্তান্তর করলো পুলিশ
আরজি কর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এছাড়া মামলার নথিপত্রও তাদেরকে দেয়া হয়। অভিযুক্তকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের য়ে দল এসেছে, তার মধ্যে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসার এসেছেন।
সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ
ডাক্তারি পরীক্ষার পর অভিযুক্তকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চান সিবিআই তদন্তকারীরা। নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের কিছু কর্মকর্তা তদন্ত নিয়ে বৈঠক করেন। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তারা এই তদন্ত করছেন।
এরপর আরজি করে...
সিবিআই তদন্তকারী দল আরজি কর হাসপাতালেও যাবেন। চারতলার সেমিনার রুম, যেখানে ওই ঘটনা ঘটেছিল, সেখান থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করবেন। ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মীদের সঙ্গেও তারা কথা বলবেন।
প্রাপ্ত সব আলামত নিয়ে কাজ শুরু
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ তাদের হাতে যেসব প্রমাণ তুলে দিয়েছে, অভিযুক্তের ইযারফোন, নিহত নারী চিকিৎসকের সেলফোন, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর কে?
সিবিআই আরেকটি বিষয় নিয়েও তদন্ত করছে, সেটা হলো, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার কি একাই খুন ও ধর্ষণ করেছিল, নাকি তার সঙ্গে আরো এক বা একাধিক মানুষ ছিল। অভিয়ুক্তকে এই বিষয়ে জেরা করা হবে। তার পাশাপাশি, আনুসাঙ্গিক আরো তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করবে সিবিআই দল।
সেমিনার রুমে রহস্যজন সংস্কারকাজ
আরজি কর হাসপাতালের যে সেমিনার রুমে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটে সেখানেই সংস্কারের কাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, তারা কোনোভাবেই প্রমাণ লোপাট করতে দেবেন না।
চলছে কর্মবিরতি
জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবারও রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে বুধবারও রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির সার্বিক কাজ ব্যহত হয়েছে। আরজি কর, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যালসহ অন্য হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা বিভাগে সিনিয়র চিকিৎসকরাই রোগী দেখছেন। অনেক জায়গায় ওপিডি-তে কার্যত কাজ হচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালেও এই বিক্ষোভের রেশ পড়েছে।
বিক্ষোভে উত্তাল
কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলছে। নিরাপত্তার দাবিতে, দোষীর শাস্তির দাবিতে, হাসপাতালের সুস্থ পরিবেশের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।