1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরজি কর কাণ্ডে সাসপেন্ড তিন পুলিশ অফিসার

২১ আগস্ট ২০২৪

গত ১৪ আগস্ট তিন পুলিশ অফিসার আরজি করে ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই হাসপাতালে হামলা চালায় কয়েকহাজার দুর্বৃত্ত।

https://p.dw.com/p/4jiFI
আরজি করে ভাঙচুরের রাত
আরজি করের সামনে পুলিশছবি: Subrata Goswami/DW

যে তিনজন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দু'জন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার এবং একজন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার। পুলিশ সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, ১৪ অগাস্টের ঘটনার পর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই ওই তিন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আরজি করে এক যুবতী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। গত ১৪ অগাস্ট 'রাত দখলে'র কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সাধারণ মানুষ জেলায় জেলায় রাস্তায় নেমে পড়েন। আরজি করের সামনেও মিছিল এবং প্রতিবাদের ব্যবস্থা হয়। তার আগে থেকেই আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকেরা মঞ্চ বেঁধে হাসপাতালের সামনে প্রতিবাদ করছিলেন। ১৪ অগাস্ট রাতে আচমকাই মিছিলের ভিতর থেকে একটি বড় বাহিনী হাসপাতালের ঢুকে পড়ে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা প্রতিবাদীদের মঞ্চে ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে এমার্জেন্সি বিভাগে ভাঙচুর চালায়।

ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ জানায়, দৃর্বৃত্তরা সংখ্যায় অনেক ছিল। পুলিশ তাই তাদের আটকাতে পারেনি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ওই দিনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। পুলিশের আচরণ এবং দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। প্রধান বিচারপতি সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, যখন ওই ঘটনা ঘটছে, পুলিশ তখন কী করছিল? বস্তুত, এর পরেই তিন অফিসারকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়।

এদিকে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কলকাতা পুলিশও ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। এখনো পর্যন্ত ওই ঘটনায় ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তারপরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, পুলিশ কেন ওই দিন দুর্বৃত্তদের আগেই আটকে দেয়নি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)