আরজি করে পদে থাকা অভিযুক্তদের নাম চাইলো সুপ্রিম কোর্ট
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, তারা সিবিআইকে চারজনের নাম দিয়েছেন এবং তারা কোন পদে আছেন সেটাও জানিয়েছেন। এরা সকলেই ক্রাইম সিনে পুলিশ আসার আগে চলে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য।
ইন্দিরা জয়সিংয়ের যুক্তি, ''এরা যদি পদে থাকেন, তাহলে ডাক্তাররা কাজে ফিরবেন কী করে। এই মানুষগুলিই থ্রেট কালচারের পিছনে। সেজন্য বলছি, এটা সাধারণ ধর্ষণ ও হত্যার মামলা নয়। অনেকে এর সঙ্গে্ জড়িত। এদের সাসপেন্ড করা হোক। যদি এদের সাসপেন্ড করা না হয় তো নিদেনপক্ষে এদের ছুটি নিতে বলা হোক।''
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিবিআই-কে আগে জানাতে হবে, তাদের তদন্তের আওতায় কি এই মানুষরা আছেন? তাদের নামও আদালতকে জানাতে হবে।
সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ''আমরা স্টেটাস রিপোর্টে এতটা স্পষ্ট করে বলিনি ঠিকই, কিন্তু সেখানে জানিয়েছি, আমরা এদের বিষয়ে তদন্ত করছি।''
রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকারকে যদি সেই নামগুলি দেয়া হয় বা সিবিআই যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পেয়েছে বলে রাজ্য সরকারকে জানায়, তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। কাউকে ছাড়া হবে না।
মাত্র ২৬ শতাংশ সিসিটিভি লেগেছে
রাজ্য সরকারের তরফে যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে,যতগুলি সিসিটিভি লাগানোর কথা ছিল, তার মাত্র ২৬ শতাংশ লাগানো হয়েছে। অন্য বিষয়গুলির ক্ষেত্রেও কোথাও ৩০ শতাংশ, কোথাও ৩৩ শতাংশ কাজ হয়েছে।
এত ধীরগতিতে কাজ হচ্ছে কেন, জানতে চাওয়া হলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, বন্যার জন্য কিছুটা দেরি হয়েছে, টেন্ডার ডাকার ক্ষেত্রে হয়েছে। তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ হয়ে যাবে।
চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেয়া নিয়ে
রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিযোগ করেন, চিকিৎসকরা পুরোপুরি কাজে যোগ দেননি। আংশিকভাবে দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেছেন, সব জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা জরুরি সব পরিষেবায় যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে ওপিডিও আছে।
ইন্দিরা জয়সিংয়ের বক্তব্য, এবার চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠা বন্ধ হোক।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, জুনিয়র জাক্তারদের পুরোপুরি কাজে যোগ দিতে হবে।
সাগর দত্ত নিয়ে
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রসঙ্গও সর্বোচ্চ আদালতের শুনানিতে আসে। সেখানে চিকিৎসকদের পক্ষে আইনজীবী জানান, ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও ডাক্তারদের নিগ্রহ করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে তখন বলা হয়, রোগীকে বেড দেয়া হয়নি বলে তার মৃত্যু হয়। এই নিয়ে বিতর্ক হয়।
জিএইচ/এসজি (সুপ্রিম কোর্টের লাইভ স্ট্রিমিং)