আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার
১৬ দিন জেরা করার পর সোমবার আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করলো সিবিআই।
সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ সামনে আসে। চিকিৎসক খুনের এফআইআর করা নিয়ে দেরির অভিযোগ যেমন আছে, তেমনই আরজি করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও আছে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পাঁচদিন পর সিবিআই তদন্ত শুরু করে। গত ১৬ অগাস্ট থেকে দুইদিন বাদ দিয়ে তাকে সমানে জেরা করেছে সিবিআই। এবার তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার আরো তিন
সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও আফসার আলী, সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিং-কে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। আফসার আলী সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী। বাকি দুইজন ওষুধের ভেন্ডার। সন্দীপের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ।
সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্ন
সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও প্রশ্ন করেছিল। বিচারপতিরা প্রশ্ন করেছিলেন, কেন তিনি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা জানার পর ঠিক সময়ে এফআইআর করেননি?
ইস্তফার পরেই নিয়োগ
আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর প্রবল জনরোষের মুখে ইস্তফা দেয়ার কথা জানান সন্দীপ ঘোষ। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দেয়, তারা সেখানে তাকে ঢুকতে দেবে না। পরে তাকে স্বাস্থ্য দপ্তরে ওএসডি করা হয়
ইস্তফার পরেই নিয়োগ
আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর প্রবল জনরোষের মুখে ইস্তফা দেয়ার কথা জানান সন্দীপ ঘোষ। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দেয়, তারা সেখানে তাকে ঢুকতে দেবে না। পরে তাকে স্বাস্থ্য দপ্তরে ওএসডি করা হয়।
সাবেক ডেপুটি সুপারের অভিযোগ
আরজি করের সাবেক ডেপুটি সুপার আখতার আলী কলকাতা হাইকোর্টে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেখানে তার অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষ বেওয়ারিশ মৃতদেহ বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেয়া, শিশুপাচার, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি, টেন্ডার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। তাকে ওষুধ ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহকারীরা কমিশন দিত। পড়ুয়াদের পাস করাতেও তিনি লাখ লাখ টাকা নিতেন বলে তার অভিযোগ।
সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই
সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই জেরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। একদিন সকালে সিবিআই কর্মকর্তারা সন্দীপের বাড়িতে তল্লাশি করার জন্য যান। ৭৫ মিনিট পর বাড়ির গেট খোলেন সন্দীপ। ততক্ষণ সিবিআই অফিসাররা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে বাড়ি তল্লাশির পর প্রচুর নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে তারা জানিয়েছিলেন।
বেলেঘাটার বাড়ি
বেলেঘাটায় এই বাড়িতেই থাকেন সন্দীপ ঘোষ। তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ার মানুষজনের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না সন্দীপ ঘোষ।
আইএমএ থেকে সাসপেন্ড
চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন(আইএমএ) সন্দীপ ঘোষকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।