1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমার বউ-মেয়ে শেষ, আমি সব হারালাম: সুজন

২৮ জুন ২০২১

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্ত্রী ও মেয়েকে হারানো মো. সুজন কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে বসে পড়েছেন।

https://p.dw.com/p/3veqp
মগবাজারের বিস্ফোরণে মারা গেছঠেন সুজনের স্ত্রী ও মেয়ে। ছবি: bdnews24.com

মগবাজারের বিস্ফোরণে মারা গেছেন সুজনের স্ত্রী ২৫ বছর বয়সি জান্নাত বেগম এবং তার নয় মাসের মেয়ে সুবহানা। ডিডাব্লিউর কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানাচ্ছে,  কাঁদতে কাঁদতে আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করছেন সুজন, আর বলছেন, আমার বউ-মেয়ে সব শেষ। আমার আর কেউ নাই রে, তোরা কে কোথায় আছোস হাসপাতালে আয়।

ত্রী ও সন্তানের হঠাৎ মৃত্যুতে শোকে দিশেহারা সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ''সন্ধ্যায় মেয়ে সুবহানা আর ১৩ বছরের ভাই রাব্বিকে নিয়ে মগবাজার আড়ংয়ের উল্টো দিকে শরমা হাউজে খেতে গিয়েছিলেন জান্নাত।''

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে স্ত্রীর লাশ দেখতে পেয়েছেন। নয় মাসের মেয়ে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছে বলে স্বজনদের কাছে জানতে পেরেছেন।

২৫ বছর বয়সী জান্নাতকে রাত নয়টা নাগাদ যখন হাসপাতালে আনা হয়, তার পুরো শরীর ধুলাবালি ভরা, রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত ছিল। আহতদের ভিড় আর হাসপাতালের কোলাহল ছাপিয়েও তার আর্ত চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

ট্রলিতে শুয়ে অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত যাওয়ার সময় জান্নাত সমানে শুধু একটি কথাই বলেছিলেন: আমাকে বাঁচান, স্বামীকে ডাকেন।

ঘণ্টা দেড়েক পর জান্নাতের স্বামী সুজন যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালেন, ততক্ষণে জান্নাত না ফেরার দেশে।

সুজন জানান, তার কিশোর শ্যালক রাব্বি আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

হাসপাতাল থেকে যখন ট্রলিতে করে জান্নাতের মৃতদেহ বের করা হচ্ছিল, তখন আর সুজনকে আটকে রাখা যাচ্ছিল না। স্ত্রীর মৃতদেহের কাছে গিয়ে বারবার তাকে ডেকে তোলার চেষ্টা করছিলেন। তার কান্নায় ভিজে ওঠে উপস্থিত অনেকের চোখ।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, সুজন একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন। শরমা হাউজ নামের ওই রেস্তোরাঁ তাদের এক আত্মীয়ের। মেয়ে আর ভাইকে নিয়ে সন্ধ্যায় সেখানে গিয়েছিলেন জান্নাত।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের কারও কারও শরীর পুড়ে গেছে। তবে বেশিরভাগই আহত হয়েছেন বিস্ফোরণে ছিটকে যাওয়া কাচের আঘাতে।

জিএইচ/এসজি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)