আবার উত্তপ্ত মণিপুর, বন্ধ ইন্টারনেট
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪মঙ্গলবার পরপর দু'টি নোটিস জারি করে মণিপুর সরকার। প্রথম নোটিসে পুরো রাজ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। পরে জানানো হয়, ইমফল পশ্চিম, ইমফল পূর্ব, থউবাল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং জেলায় সমস্তরকম ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী পাঁচদিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। সহিংসতা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ বলে সেখানে জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ভুয়া খবর প্রচার করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছিল। সে কারণেই এই পদক্ষেপ।
এর আগেও একাধিকবার মণিপুরে এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। বস্তুত, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে হয়েছে ইতিমধ্যেই। মাঝে কিছুদিন উত্তাপ কিছুটা কমলেও গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ইমফলে মেইতেই ছাত্ররা বিরাট মিছিল করে। রাজভবনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল সেই মিছিল। তাদের দাবি ছিল, পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) এবং রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিতে হবে।
ইমফলে কংগ্রেস ভবনের সামনে সেই মিছিলকে আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। মিছিলে ছাত্রদের পাশাপাশি হাজারখানেক নারী যোগ দিয়েছিলেন। হাতে মশাল নিয়ে মিছিল করছিলেন তারা। নিরাপত্তারক্ষীরা আটকালে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্রদের। ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এর পরেই দ্রুত ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সহিংসতা চলছেই
গত সপ্তাহে আসাম-মণিপুর সীমান্তের জিরিবামে নতুন করে উত্তেজনা দেখা যায়। অভিযোগ কুকিদের একটি গোষ্ঠী মেইতেই এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাতে তৈরি রকেট হামলাও চালানো হয়েছে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। এক বয়স্ক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। এরপরেই নতুন করে উত্তাপ ছড়ায় গোটা মণিপুর জুড়ে। বস্তুত, গত একবছর ধরে কার্যত দুইভাগে ভাগ হয়ে আছে মণিপুর। পাহাড় অঞ্চল কুকিদের দখলে, উপত্যকা মেইতেইদের দখলে। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। আশ্রয় শিবির তৈরি হয়েছে মণিপুরের ভিতরে এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে এই সহিংসতা চিন্তায় ফেলেছে নিরাপত্তারক্ষীদের।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)