dw.com এর বেটা সংস্করণ ভিজিট করুন৷ আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি! আপনার মতামত সাইটটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে৷
ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার থেকে আবার বিধিনিষেধের কড়াকড়ি শুরু হয়েছে৷ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ১১টি ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার৷
প্রায় পাঁচ মাস পর আবার শুরু হওয়া এই বিধি-নিষেধের কারণে উন্মুক্ত স্থানে যে কোনো সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান কিংবা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকবে৷ শনিবার থেকে বাস-ট্রেনে আবার অর্ধেক যাত্রী থাকবে৷
নির্দেশনাসমূহ
২০২০ সালে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণের শুরু হলে মার্চের শেষ দিকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়, যা দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলে৷ তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টির পর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে৷ বুধবার শনাক্ত হয়েছে প্রায় তিন হাজার রোগী৷ দৈনিক শনাক্তের হারও প্রায় ১২ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা ১২ দিন আগেও ৩ শতাংশের নীচে ছিল ছিল৷
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের দাপটে গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে রোগীর চাপে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল৷ দৈনিক শনাক্ত রোগী ১৬ হাজারও ছাড়িয়ে যায়, এক দিনে আড়াইশর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়৷
অর্থনীতি আর জীবিকা বাঁচাতে আগের মত সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া ‘লকডাউন' ব্যবসায়ীরা চান না৷ এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, লকডাউনই সমাধান নয়, জোর দিতে হবে টিকা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতায়৷
নাগরিকদের দ্রুত টিকার আওতায় এনে, সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করে যতটা সম্ভব জনজীবন সচল রাখতে চাইছে সরকার৷ দেশের প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ অন্তত এক ডোজ এবং ৩২ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন৷ বয়স্ক ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়া চলছে৷
এনএস/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)