1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে শক্তি বৃদ্ধি করছে ‘ইসলামিক স্টেট'

১০ জুন ২০১৯

সিরিয়া এবং ইরাকে তথাকথিত ‘খেলাফত' হারানোর পর এখন আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় জড়ো হচ্ছে ‘ইসলামিক স্টেট৷' সেখান থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর উপর হামলার পরিকল্পনা করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷

https://p.dw.com/p/3K8RP
ISIS ruft Kalifat Staat aus in Irak und Syrien
ছবি: Reuters

আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) নতুনভাবে জড়ো হচ্ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা৷ গোষ্ঠীটি নতুন যোদ্ধা সংগ্রহের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও মনে করছেন তাঁরা৷ পরিস্থিতি এমন যে আইএসকে রুখতে তালেবানের সঙ্গে মৈত্রি গড়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে৷

আফগানিস্তানের তালেবানের বিরুদ্ধে প্রায় দুই দশক ধরে লড়াই করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী৷ সেই লড়াইয়ে অবশ্য তালেবান নিশ্চিহ্ন হয়নি৷ বরং পশ্চিমারা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান আবারো বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা শুরু করেছে৷

তবে, পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা দেশটিতে এখন তালেবানের চেয়েও বড় হুমকি মনে করছে ইসলামিক স্টেটকে৷ এই গোষ্ঠীর সামরিক সক্ষমতা বেশি এবং এটি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে ক্ষতির মাত্রা বেশি হয়৷

আফগানিস্তানে  কর্মরত এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে জানিয়েছেন যে আইএস সাম্প্রতিক সময়ে কাবুলে যে হামলাগুলো চালিয়েছে সেগুলো মূলত ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় হামলা চালানোর আগে গোষ্ঠীটির ‘‘প্রাকটিস রান''৷ নিরাপত্তার খাতিরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘গোষ্ঠীটি হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে আমাদের মাতৃভূমির প্রতি সবচেয়ে নিকটবর্তী হুমকি৷ তাদের মূল লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে হামরা চালানো৷''

এমন হামলা দ্রুত ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি৷

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের পরিচালক ব্রুস হ্যফম্যানও আফগানিস্তানকে আইএস এর সম্ভাব্য নতুন ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আইসিস আফগানিস্তানের প্রতি ব্যাপক মনোযোগ দিয়েছে এবং সেখানে অনেক বিনিয়োগ করেছে৷'' দেশটির পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীটি সমরাস্ত্রের ‘‘ব্যাপক মজুত'' গড়েছে বলেও মনে করেন তিনি৷

উল্লেখ্য, তালেবান এবং ইসলামিক স্টেটের মধ্যে অনেক আদর্শ এবং কৌশলগত পার্থক্য রয়েছে৷ এই দুই গ্রুপের মধ্যে ইতোমধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষও হয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করছেন আফগানিস্তানে আইএস নিধনে তালেবানকে কাজে লাগানো সম্ভব হতে পারে৷

এআই/কেএম (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান