আফগানিস্তানের ‘যুদ্ধ’ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে জার্মান সংসদ
৭ এপ্রিল ২০১০সংসদ এখানে কী ভূমিকা পালন করছে
জার্মান সংসদে সেনাবাহিনীর সুবিধা অসুবিধা তুলে ধরার জন্য বিশেষ যে একটি সংসদীয় কমিশনারের পদ রয়েছে সেখানে রাইনহল্ডট রব্বে-র স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নতুন কমিশনার হেলমুট ক্যোনিগসহাউজ৷ গত শুক্রবার আফগানিস্তানের কুন্দুজে জার্মান সেনাবাহিনীর ওপর তালেবানি হামলার পর এই কমিটি স্থির করেছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে৷ অর্থাৎ, সেদেশে অবস্থানরত জার্মান সেনাবাহিনীর জন্য নতুন কোন অস্ত্র প্রয়োজন আছে কিনা বা তালেবান বিরোধী লড়াইতে সেনাবাহিনীর জন্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন কিনা তাও বিবেচিত হবে আলাদা ভাবে৷
সংসদীয় এই কমিটির বক্তব্য কি
এই এক সদস্যের কমিটির প্রধান হেলমুট ক্যোনিগসহাউজের মতে, আফগানিস্তানে চলতি তালেবান বিরোধী লড়াইতে জার্মানবাহিনীর প্রয়োজন কিছু বিশেষ অস্ত্র৷ যেমন লেওপার্ড ট্যাঙ্ক আর মর্টার শেল৷ তিনি মনে করছেন সেগুলি হাতে পেলে জার্মানবাহিনী আরও দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে৷ এখানে উল্লেখ করা দরকার, গত শুক্রবার কুন্দুজের কাছে চারদারাহ নামের একটি জায়গায় ল্যান্ডমাইন পরিষ্কারে ব্যস্ত জার্মানবাহিনীর তিনজন সেনাকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে তালেবান৷ হামলায় আরও আটজন সেনা আহত হন৷ এরপরই তত্পরতা দেখাতে শুরু করেছে সংসদীয় কমিটি৷
সেনাবাহিনী এই পরামর্শের জবাবে কী বলছে
সেনাবাহিনীর কিছু বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে বুধবার মুখ খুলেছেন৷ তাঁদের মতে, যে ধরণের অস্ত্রের কথা বলছে সংসদীয় কমিটি, আফগানিস্তানের জন্য সেগুলির যেমন দরকার তেমনই তালেবানকে পরাস্ত করতে অন্য কিছু অত্যাধুনিক সনাক্তকরণ যন্ত্র, চালকবিহীন ড্রোন বিমান, হেলিকপ্টার এবং পাল্টা অস্ত্রের দরকার রয়েছে৷
হঠাৎ করে সংসদের এই তত্পরতার কারণ কী
জার্মানির অভ্যন্তরে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন যাবৎ৷ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বিরোধীরাও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা করে আসছেন৷ ২০০২ সাল থেকে জার্মানবাহিনী আফগানিস্তানে দায়িত্বরত রয়েছে৷ এরমধ্যে গত শুক্রবার কুন্দুজের হামলাটিই ছিল বৃহত্তম৷ এরপরে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও মেনে নিয়েছেন আফগানিস্তানে ‘যুদ্ধ'-এর সম্মুখীন জার্মানি৷ এই অবস্থায় জার্মান সরকার চাইছে এ বিষয়ে তারা কতটা উদ্বিগ্ন এবং বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরতে৷
প্রতিবেদক : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ