আন্দোলনের ঘোষণা করেও স্থগিত রাখলেন দিল্লির জুনিয়র ডাক্তাররা
রোববার ঘোষণা করা হয়েছিল, সোমবার থেকে আবার আন্দোলনে নামবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে শেষ মুহূর্তে তারা তা স্থগিত রাখলেন।
কী ঘোষণা করা হয়েছিল?
দিল্লির চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এফএআইএমএ) জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে তারা দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবেন। বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হয়েছে, সোমবার থেকে তারা অত্যন্ত জরুরি ছাড়া অন্য সব জায়গায় কাজ করা বন্ধ করে দেবেন।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
বলা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে ৬৫ দিন ধরে আন্দোলন করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের প্রতি উদাসীন। চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। তাই তারা এই আন্দোলনে নামবেন।
আন্দোলন স্থগিত রাখা হলো
সোমবার এফএআইএমএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছে। তারা সেই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন। যদি সেই বৈঠক সফল না হয়, তাহলে তারা ১৫ অক্টোবর থেকে আন্দোলন শুরু করে দেবেন। উপরের ছবিতে এইমসে রোগীদের ভিড়।
এইমস স্বাভাবিক
চিকিৎসক সংগঠনের এই ঘোষণার পর জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাভাবিকভাবে কাজ করেছেন। দিল্লির এইমসে গিয়ে দেখা গেল, সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। ওপিডিতে প্রচুর রোগী এসেছেন। জুনিয়র ডাক্তাররাও কাজ করছেন।
অনশন চলছে
কলকাতায় ও উত্তরবঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন চলছে। একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক
চিকিৎসক সংগঠনগুলির সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হচ্ছে। ১২টি সংগঠনের প্রতিনিধি সেখানে আছেন। চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আইএমএ-র রাজ্য নেতারা বলেছেন, অনশনরত চিকিৎসকদের শরীরের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে কাজ করবে বলে তারা আশা করছেন।
ছিলেন না স্বাস্থ্যসচিব
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম দাবি হলো, তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
দাবি মানা না হলে
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন দাবি মানা না হলে, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। শোমবার তারা রাজভবন ঘেরাও অভিযান করছেন। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের উদ্য়োগে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের পাশাপাশি তারা দ্রোহের কার্নিভাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।