আদ্দিস আবাবায় গাড়িবিহীন একদিন
পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিলো ইথিওপিয়া সরকার৷ দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবায় নির্দিষ্ট কিছু দিনে কোনো গাড়ি চলবে না৷
বিশেষ উদ্যোগ
মোটরযানের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে চায় ইথিওপিয়া৷ পরীক্ষামূলকভাবে মাসের কিছু নির্দিষ্ট দিনে দেশটির রাজধানীতে মোটর যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ এনেছে সরকার৷ গত ১২ মে ছিল এমনই এক দিন৷ সেদিন রাজধানীর বেশ কিছু অংশে মোটরযান চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার৷ সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকেই৷
ধোঁয়াচ্ছন্ন শহর
বায়ুদুষণের দিক থেকে আফ্রিকার শহরগুলোর মধ্যে আদ্দিস আবাবা অন্যতম৷ চার মিলিয়ন বাসিন্দার শহরটি মোটরযানের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় অনেক সময়৷ এ অবস্থা কাটাতেই মোটরযানের ব্যবহার কমিয়ে আনতে চাইছে সরকার৷
বিনা পয়সায় সাইকেল
মোটরযানের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বিনা মূল্যে প্রায় ৬০০ বাইসাইকেল দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ৷ আর এতে সাড়াও মিলেছে বেশ৷ অনেকেই মোটরযান ছেড়ে বাইসাইকেলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন৷
শহরের রাস্তা হয়ে গেল খেলার মাঠ
রাস্তায় নেই কোনো গাড়ি৷ আর এ সুযোগে তরুণরা ফুটবল নিয়ে নেমে পড়েছে রাস্তায়৷
শরীরচর্চায় মনোযোগ বাড়ছে
স্থানীয় একটি এনজিও’র উদ্যোগের ফলে তরুণ ও কিশোরদের মাঝে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্কেটিং৷ যানমুক্ত দিনগুলো তাই স্কেটারদের জন্য কসরত করার বিশাল এক সুযোগ৷
ভোরের শহর
আদ্দিস আবাবাবাসীর দিন শুরু হয় খুব ভোরে৷ রাজধানীর মেসকেল স্কয়ারের মিউজিকের শব্দে ঘুম ভাঙে তাঁদের৷ মিউজিকের শব্দে ঘুম ভাঙার বিষয়টি তাঁদের সংস্কৃতির সাথে মিশে গেছে৷ শুধু তাই নয়, খুব ভোরে উঠে রাস্তায় ব্যায়ামও করেন অনেকেই৷ সপ্তাহান্তে এমনকি ভোর চারটায়ও কিছু মানুষকে রাস্তায় দৌঁড়াতে দেখা যায়৷
গণপরিবহনের অবস্থা
আফ্রিকার একমাত্র শহর আদ্দিস আবাবা, যেখানে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চলে৷ তবে সংখ্যাটা খুব বেশি নয়, যাত্রী ধারণক্ষমতাও যথেষ্ট নয়৷ বায়ুদূষণ কমাতে বিদ্যুৎচালিত রেলই হতে পারে মোটরযানের বিকল্প, মনে করছে কর্তৃপক্ষ৷
সবচেয়ে কম গাড়ি ইথিওপিয়ায়!
বিশ্বে গাড়ি সবচেয়ে কম চলে ইথিওপিয়ায়৷ সেখানে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি কিনলে প্রায় ৩০০ ভাগ কর দিতে হয়৷ এত খরচ অনেকের পক্ষেই বহণ করা সম্ভব হয় না৷ এ নিয়ে ক্ষোভও আছে জনমনে৷