বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক মনে করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী প্রজাতন্ত্রের বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে৷ আমলাগণও এখন সরকারের পক্ষে মাঠে নামছেন বলে অভিযোগ তার৷
ডয়চে ভেলের ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এ তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সচিবালয়ের আমলাগণ রাস্তায় নেমেছিলেন সরকারের বিরোধিতা করার জন্য আর এখন থেকে এক দেড় মাস আগে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সরকারি আমলাগণ নেমেছেন সরকারের পক্ষে৷’’ সরকার দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বলেন, ‘‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, প্রজাতন্ত্রের বাংলা বা জনগণের বাংলা হচ্ছে আওয়াম বা আওয়ামী , আমরা কি নাম বদলানোর দিকে যাচ্ছি? বাংলাদেশের মানুষকে সজাগ হতে বলবো৷ আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে আওয়ামী প্রজাতন্ত্রের বাংলাদেশ হতে দিতে পারি না৷’’
আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘গণতন্ত্র থাকা না থাকা’৷ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমও অংশ নেন অনুষ্ঠানে৷ তিনি সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকারি কর্মচারিরা মাঠে নেমেছেন এমন তথ্য ভুল৷ ধর্মীয় সংগঠনগুলোর দাবির প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা৷ তিনি বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা... বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন আমাদের চেতনার বিমূর্ত প্রতীক, আর ধর্মনিরপেক্ষতার সংবিধান ফেলে দিতে চেয়েছে, যেটা বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ সেজন্যই সরকারি কর্মচারিরা একটি প্রতিবাদ করেছে৷'' আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমলাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না, বরং পরিচালিত হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের মাধ্যমে৷’’ প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনায় এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতের অন্ধকারে ভোট দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতা শ ম রেজাউল করিম দাবি করেন, এমন কোনো প্রমাণ কোথাও নেই৷ বলেন, ‘‘রাতে ভোট হয়েছে এ ধরনের কোনো তথ্য-প্রমাণ দেশে ও বিদেশের কোনো গণমাধ্যমে আসেনি৷’’
২০ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, জোট আবারো আন্দোলন শুরু করবে৷ কল্যাণ পার্টি ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকবে এবং এজন্য দলটিকে পুনর্জাগরণ করা হচ্ছে৷ খালেদা জিয়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে না পারলে অন্যদের দায়িত্ব নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷
এফএস/এসিবি
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
গোপালগঞ্জ-৩
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছিলেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট৷ সেখানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র এসএম জিলানী পেয়েছিলেন মাত্র ১২৩ ভোট৷ গত নির্বাচনে কোনো আসনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পাওয়া এটাই সবচেয়ে কম ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
সিরাজগঞ্জ-১ উপ-নির্বাচন
সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম করোনায় মারা যান৷ এই আসনে উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়৷ শাকিল এক লাখ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিম রেজা পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
সিরাজগঞ্জ-১
সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা কম ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে আছেন তিন নম্বরে৷ সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপ নির্বাচন না হলে তিনি দুই নম্বরেই থাকতেন৷ একই আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিম পেয়েছিলেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৪২৪ ভোট৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা পেয়েছিলেন ১,১১৮ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
বরিশাল-১
বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ দুই লাখ ৫ হাজার ৫০২ ভোট পেয়েছিলেন৷ ধানের শীষের জহিরউদ্দিন স্বপন পেয়েছিলেন ১,৩০৫ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগের এবি তাজুল ইসলাম দুই লাখ ৭৮ ভোট পেয়েছিলেন৷ নিকটতম বিএনপি মনোনীত ঐক্যজোট প্রার্থী ধানের শীষের আব্দুল খালেক পেয়েছিলেন ১,৩২৯ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
শরীয়তপুর-২
শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের এ কে এম এনামুল হক শামীম পেয়েছিলেন দুই লাখ ৭৩ হাজার ১৭১ ভোট৷ বিএনপির মো. সফিকুর রহমান কিরণ পেয়েছিলেন ২,১১৩ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
চট্টগ্রাম-৬
চট্টগ্রাম-৬ আসনে আওয়ামী লীগের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছিলেন দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৭১ ভোট৷ নিকটতম বিএনপির জসিম উদ্দিন সিকদার পেয়েছিলেন ২,২৪৪ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
মাদারীপুর-২
মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের শাজাহান খান পেয়েছিলেন তিন লাখ ১১ হাজার ৭৪০ ভোট৷ নিকটতম বিএনপি প্রার্থী মিল্টন বৈদ্য পেয়েছিলেন মাত্র ২,৫৮৮ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
শরীয়তপুর-৩
শরীয়তপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নাহিম রাজ্জাক ২ লাখ ৭ হাজার ২২৯ ভোট৷ নিকটতম বিএনপির হানিফ মিয়া পেয়েছিলেন ২,৭৩৫ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
মাদারীপুর-৩
মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সোবাহান গোলাপ দুই লাখ ৫২ হাজার ৬৪১ ভোট পেয়েছিলেন৷ বিএনপি প্রার্থী আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার পেয়েছিলেন মাত্র ৩,২৯৬ ভোট৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
চট্টগ্রাম-৩
চট্টগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতা এক লাখ ৬২ হাজার ৩৫৬ ভোট পেয়েছিলেন৷ নিকটতম বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা ৩,১২২ ভোট পান৷