1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শাটডাউন সংকট

২৩ জানুয়ারি ২০১৯

মার্কিন প্রশাসনের একাংশে অচলাবস্থার কারণে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে এফবিআই এজেন্টদের সংগঠন৷ সংসদে তৎপরতা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অটল রয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3C0J4
প্রশাসনে অচলাবস্থা সত্ত্বেও অবিচল ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Martin

মার্কিন প্রশাসনের একাংশে ‘শাটডাউন' বা অচলাবস্থা কাটাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের মধ্যে কোনো আপোশের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ বিরোধীরা মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়তে ৫৭০ কোটি ডলার মঞ্জুর করতে রাজি নয়৷ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৮ লক্ষ ফেডারেল কর্মীর বেতন বন্ধ রয়েছে, অনেক পরিষেবা ও অবকাঠামো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে৷ এমনকি জাতীয় নিরাপত্তাও নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই৷ সংস্থার এজেন্টদের সংগঠন জানিয়েছে, বর্তমানে অর্থ তছরুপ, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত অনেক তদন্তের কাজ ব্যাহত হচ্ছে৷ ফলে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷

শাটডাউনের ৩২তম দিনেও ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মোটেই হার মানতে প্রস্তুত নন৷ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীরের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টির উপরও তিনি আবার জোর দিয়েছেন৷

এই অবস্থায় প্রেসিডেন্টকে এড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মার্কিন সংসদে উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাতের পথে গিয়ে ‘শাটডাউন' বন্ধ করতে চাইছে৷ অন্যদিকে রিপাবলিকান দলের একাংশও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগ্রহী৷ ডেমোক্র্যাটরা কমপক্ষে ৩ সপ্তাহের জন্য সরকার চালানোর অর্থ মঞ্জুর করতে এক প্রস্তাব অনুমোদন করাতে চায়৷ সেনেটের রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল সে বিষয়ে ভোটাভুটির পথ সুগম করে দিয়েছেন৷ ট্রাম্প এমন পদক্ষেপের বিরোধী হলেও ম্যাককনেল এমনটা করলেন৷ ট্রাম্পকে খুশি করতে তিনি বৃহস্পতিবার আরেকটি প্রস্তাবও আনতে চান, যার আওতায় সীমান্তে প্রাচীর গড়া ও তরুণ অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচির অর্থায়ন করা যাবে৷ তবে সংসদের দুই কক্ষেই এমন প্রস্তাব অনুমোদনের সম্ভাবনা ক্ষীণ৷

কোন প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত পাশ করা সম্ভব হবে, তা স্পষ্ট না হলেও দুই দল মিলে অচলাবস্থা কাটানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেই বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ মার্কিন জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছে৷ ফলে জনমতের চাপও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সক্রিয় করে তুলেছে৷

এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য নিজের অবস্থানে অবিচল রয়েছেন৷ তিনি আগামী ২৯শে জানুয়ারি বাৎসরিক ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণ দিতে বদ্ধপরিকর৷ অথচ অচলাবস্থার কারণে ডেমোক্র্যাট নেতা ও হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ভাষণের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেবার পরামর্শ দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, স্পিকারআমন্ত্রণ না জানালে প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদে যেতে পারেন না৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)