অভিবাসীদের শ্রদ্ধা জানাতে পাথরের মার্সিডিজ স্মৃতিস্তম্ভ
বিশাল পাথর কেটে কেটে মার্সিডিজ বেনৎস মিনিকার আদলে ৫০ টন ওজনের এক স্মৃতিস্তম্ভ বানাচ্ছেন ক্রোয়েশিয়ার ভাস্কর রোকো দ্রিস্লাভ রেবিচ৷ এর কারণসহ বিস্তারিত জানুন ছবিঘরে...
ক্রোয়েশিয়ার শহরে জার্মানির মার্সিডিজের ছড়াছড়ি
দিনারা পাহাড়ের পাদদেশে ছোট্ট এক শহর ইমোটস্কি৷ শহরে ২৫ হাজার মানুষের বসবাস৷ ২৫ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে ৮ হাজার মার্সিডিজ! এই শহর থেকে যখন যিনিই ভাগ্যান্বেষণে জার্মানি পাড়ি জমিয়েছেন, তিনিই ফিরেছেন একটা মার্সিডিজ গাড়ি নিয়ে৷ ক্রোয়াটরা মনে করেন, মার্সিডিজ হলো সাফল্যের প্রতীক৷ প্রবাসীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই পাথর দিয়ে মার্সিডিজের আদলের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করছেন ভাস্কর রোকো দ্রিস্লাভ রেবিচ৷
ভাগ্যান্বেষণে ক্রোয়েশিয়া থেকে জার্মানিতে
রোকো দ্রিস্লাভ রেবিচকে পাথরের মার্সিডিজ তৈরিতে সহায়তা করছেন ইভান টোপিচ৷ তার কথায় উঠে এলো যুগ যুগ ধরে ক্রোয়েশীয়দের জার্মানিতে পাড়ি জমানোর গল্প, ‘‘আমাদের বাপ-দাদারা আয়-উপার্জনের জন্য প্রধানত পশ্চিম জার্মানিতে যেতেন৷সেখানে তারা যে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন তা বোঝাতে ঝা চকচকে মার্সিডিজ গাড়ি চালিয়ে দেশে ফিরতেন তারা৷’’
দুই অধ্যায়
ক্রোয়েশিয়া থেকে প্রথম সবচেয়ে বেশি মানুষ জার্মানিতে যায় ১৯৭১ সালে৷ জার্মানিমুখি আরেকটা বড় মানবস্রোত বয়ে যায় ২০১৮ সালে, ক্রোয়েশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পরে৷ প্রায় ৩৯ লাখ মানুষের দেশে এখন মার্সিডিজের সংখ্যা কত তা বলা মুশকিল৷ মাত্র ২৫ হাজার মানুষের শহর ইমোটস্কিতেই নাকি রয়েছে অন্তত আট হাজার!টোপিচ জানালেন, এই আট হাজারের মধ্যে অনেক মার্সিডিজই নাকি এখনো ‘অবৈধ’৷
৫০ টন ওজনের গাড়ির স্মৃতিস্তম্ভ
এখনো ইমোটস্কিতে চলছে গাড়ির আদলে এক স্মৃতিস্তম্ভ বানানোর কাজ৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রোকো দ্রিস্লাভ রেবিচ জানান, পাথরের গাড়িটির ওজন হবে ৫০ টন৷
এখন অপেক্ষা...
ইমোটস্কিতে এখন চলছে বিশাল এক মার্সিডিজের আদলের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির কাজ৷ স্মৃতিস্তম্ভটির উদ্বোধন হবে আগামী ৮ জুন৷