1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবসর নিয়ে মুখ্যসচিব এখন মমতার উপদেষ্টা

১ জুন ২০২১

মোদী-মমতা বিরোধের জেরে অবসর নিয়ে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। মমতা তাকে মুখ্য উপদেষ্টা করলেন।

https://p.dw.com/p/3uFR0
মুখ্যসচিবকে নিয়ে বিতর্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta

প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধের জেরে বিপাকে পড়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে সোমবার সকাল দশটায় দিল্লিতে এসে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল।  কিন্তু মমতা তাকে ছাড়েননি। আলাপনও দিল্লি যাননি। তখন তাকে মঙ্গলবার দিল্লি এসে দায়িত্ব নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু আলাপন ততক্ষণে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী তিন বছর আলাপন তার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবেন। নতুন মুখ্যসচিব হয়েছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এমনিতে আলাপনের সোমবারই অবসর নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য মমতা তিন মাস এক্সটেনশন চেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারও তাতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেয়ার জন্য কেন্দ্র তাকে বদলি করে দেয়।

এরপরেও অবশ্য আলাপনকে শো কজ করা হয়েছে। ডাকা সত্ত্বেও কেন তিনি ইয়াসের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেননি, তার জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে।

সাবেক আমলাদের বড় অংশের মত হলো, আলাপনকে শাস্তি দিতে পারবে না কেন্দ্রীয় সরকার। সাবেক কেন্দ্রীয় সচিব জহর সরকারের মতে, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার আর কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। যেহেতু যথাসময়ে রাজ্য সরকার আলাপনকে ছাড়েনি, তাই তার পক্ষে সরকারি কর্মজীবনের শেষদিনে দিল্লিতে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তার বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন্দ্র নিতে পারবে না।' আনন্দবাজারকে তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আইনসঙ্গতভাবেই তাকে মুখ্য উপদেষ্টার পদে নিয়োগ করেছেন।

সাবেক মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, ''আলাপন ঠিক কাজ করেছে। আলাপন আইন ভাঙেননি। তাই তার বিরুদ্ধে কেন্দ্র কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।''

মমতা বলেছেন, ‘‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিতীয় চিঠি আসার আগেই অবসর নিয়েছেন। ইতিহাসে তাঁর নাম লেখা থাকবে। তিনি এতদিন ধরে দেশের হয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু অবসরের মুহূর্তে এসে তাঁর সঙ্গে যা করা হল তা ঠিক নয়।'' মমতার দাবি, ''এমন নির্দয় ও নির্মম প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। আমাকে পছন্দ করেন না বলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এটা করলেন।''

অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে বলেছেন, ইয়াস বৈঠক সদলে বয়কট করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা। তাকে মধ্যরাতে ফোন করে মমতা জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু থাকলে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না। রাজ্যপালের মতে, ''অহং জিতল, হেরে গেল নাগরিক পরিষেবা।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)