1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তন

মিশায়েল ক্নিগে/এসবি৪ আগস্ট ২০১৫

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নতুন নিয়ম-কানুন কোনো জাদুকাঠি নয়৷ অ্যামেরিকাও রাতারাতি পরিবেশ সচেতন অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হবে না৷ তা সত্ত্বেও দেশে-বিদেশে এর গুরুত্ব কম নয় বলে ধারণা মিশায়েল ক্নিগের৷

https://p.dw.com/p/1G9QQ
Klimaziele US-Präsident Barack Obama
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Reynolds

শুরু থেকেই বারাক ওবামার কাছে জলবায়ু পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল – যদিও কার্যক্ষেত্রে তিনি এতদিন বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি৷ ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে তিনি এটিকে মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছিলেন৷ নির্বাচনে জিতলে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরিবেশের ক্ষেত্রে আবার নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু হোয়াইট হাউসে আসার পর প্রথমে তিনি ২০০৯ সালের ঐতিহাসিক কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন বানচাল করে দেন এবং প্রথম কার্যকালে এক্ষেত্রে তিনি কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি৷

প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনকে অনেকেই আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন৷ আর ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর কার্যকালের শেষ পর্যায়ে সাত বছর আগের প্রতিশ্রুতি পালনের চেষ্টা করছেন৷

ওবামার ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান' গত বছরই ঘোষণা করা হয়েছিল৷ এর আওতায় এই প্রথম কার্বন ডাই অক্সাইডকে দূষণকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং গোটা দেশের সব রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির কার্বন নির্গমনের জন্য জাতীয় বিধিনিয়ম বেঁধে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির নির্গমনের মাত্রা ২০০৫ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রার ফলে কয়লা-ভিত্তিক কেন্দ্রগুলি ধাপে ধাপে বন্ধ করার পথ সুগম হয়ে যাবে৷ অ্যামেরিকায় নির্গমনের অন্যতম প্রধান উৎসই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি৷

ধাঁধার মূল অংশ

একদিকে অর্থনৈতিক মন্দা, অন্যদিকে ফ্র্যাকিং বেড়ে চলার ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমে গেছে৷ ফলে অ্যামেরিকার অনেক রাজ্য নতুন আইন ছাড়াই নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার পথে এগোচ্ছে৷ অন্য রাজ্যগুলির পরিস্থিতি অবশ্য আলাদা৷ এটাও ঠিক যে, ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান' এককভাবে অ্যামেরিকার কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো বড় পার্থক্য আনতে পারবে না৷

এ কারণে ওবামা প্রশাসন কয়েক সপ্তাহ আগে বড় আকারে ট্রাক, ট্র্যাক্টর ও ট্রেলারের জন্য আরও কড়া জ্বালানির মান স্থির করার প্রস্তাব পেশ করেছে৷ এছাড়া ‘হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস' অর্থাৎ ওভেন বা ডিশওয়াশারের মতো বাড়িতে ব্যবহারের যন্ত্রপাতি ও ডিভাইসের জন্যও আরও কড়া মানদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে৷ ওবামার ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান'-কে তাই এক বৃহত্তর জলবায়ু পরিবর্তন ধাঁধার খেলার অংশ হিসেবে দেখতে হবে৷ বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে এর মধ্যে কোনো উদ্যোগই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে না৷ কিন্তু সার্বিকভাবে এগুলি অ্যামেরিকার কার্বন নির্গমন মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটাতে পারে৷

Michael Knigge Kommentarbild App
মিশায়েল ক্নিগে, ডয়চে ভেলে

প্রতীকী গুরুত্ব

‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান' সম্ভবত কার্বন নির্গমন তেমন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে পারবে না ঠিকই, কিন্তু তার প্রতীকী গুরুত্ব খাটো করে দেখলে চলবে না৷

প্রথমত, নতুন লক্ষ্যমাত্রার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে যাদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি, সেই ইউটিলিটি কোম্পানিগুলি তাদের কৌশল ও উৎপাদন সম্পর্কে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করতে বাধ্য হবে৷ দ্বিতীয়ত, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার অংশ হয়ে উঠবে৷ ফলে সব প্রার্থীরা এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান খোলসা করতে বাধ্য হবেন – বিশেষ করে রিপাবলিকান প্রার্থীদেরও এই প্রশ্নে ভোটারদের মুখোমুখি হতে হবে৷ তৃতীয়ত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি ও দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্বন দূষণকারী দেশ ঠিক প্যারিস শীর্ষ সম্মেলনের আগে অন্যদের উপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ চীন, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এবার নড়েচড়ে বসতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য