1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে অভিনব গবেষণা

২৬ অক্টোবর ২০২০

সব রোগীর জন্য একই ওষুধ বা চিকিৎসা যে কার্যকর হতে পারে না, চিকিৎসকরা তা বেশ কিছুকাল ধরেই জানেন৷ ভবিষ্যতে জিন থেরাপি কোনো রোগীর নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে পারবে৷ এমনকি হয়তো দৃষ্টিশক্তিও ফিরিয়ে দিতে পারবে৷

https://p.dw.com/p/3kR0G
চিকিৎসাবিদ্যার গবেষক বোটন্ড রস্কাছবি: picture-alliance/dpa/A. Heimken

শহর হিসেবে বাসেল সবসময়ে ব্যস্ততায় ভরা৷ রয়েছে নানা রং ও বৈপরিত্য৷ আছে আলো-ছায়ার খেলা, নানা মাত্রা ও দৃষ্টিকোণ৷ চোখের মাধ্যমে আমরা সেই অনুভূতি বা স্বাদ গ্রহণ করি৷ কিন্তু দৃষ্টিশক্তি হারালে সেই জগতের জানালা বন্ধ হয়ে যায়৷ শহরের মলিকিউলার ও ক্লিনিকাল অপথালমোলজি ইনস্টিটিউট সেই জানালা আবার খুলে দেবার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷

সেখানে চিকিৎসাবিদ্যার গবেষক বোটন্ড রস্কা অন্ধ মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেবার নানা উপায় নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘দৃষ্টিশক্তি কী তা বোঝা ও সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অন্ধত্বের রোগের চিকিৎসা সৃষ্টি করাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য৷’’

চোখের চিকিৎসায় জিন থেরাপি

চোখের বাইরের অংশের রূপ অসাধারণ হলেও দৃষ্টিশক্তির আসল বিস্ময় চোখের ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে৷ আইবল বা নেত্রগোলকের পেছনে রেটিনা রয়েছে৷ প্রায় একশো ধরনের কোটি কোটি কোষ দিয়ে সেটি তৈরি৷ বোটন্ড রস্কার টিম অন্ধ মানুষের রেটিনার এমন কোষ সৃষ্টি করতে সফল হয়েছেন, যেগুলি আলো পড়লে আবার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বোটন্ড রস্কা বলেন, ‘‘রেটিনা এক জৈব কম্পিউটার, যা প্রায় একশো উপাদান দিয়ে তৈরি৷ কম্পিউটার মেরামতি করা কঠিন কাজ৷ আমাদের শুধু কোনো ফটোরিসেপ্টর স্তর নয়, গোটা কম্পিউটার মেরামত করতে হবে৷ তাই আমাদের এই কম্পিউটারের অংশগুলি সম্পর্কে বুঝতে হবে এবং রোগীদের জন্য উপকারী পথ খুঁজতে হবে৷’’

মূল রেটিনার বিকল্প হিসেবে তথাকথিত রেটিনা-অরগ্যানয়েড কাজে লাগানো হচ্ছে৷ আংশিক অথবা পুরোপুরি অন্ধ রোগীর কোষ দিয়ে বিজ্ঞানীরা সেটা গড়ে তুলেছেন৷ মাইক্রোচিপের উপর সেটি রাখলে গবেষকরা আলোর সামনে এই অরগ্যানয়েডের প্রত্যেকটি কোষের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে পারেন৷ ফলে নির্দিষ্ট কোনো রোগীর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জিন থেরাপি কাজে লাগবে কিনা গবেষণাগারেই তাঁরা সেটি বুঝতে পারেন৷ বোটন্ড রস্কা বলেন, ‘‘এর ফলে আমরা রোগ সম্পর্কে আরও জ্ঞান পাচ্ছি৷ রোগীর নির্দিষ্ট মিউটেশনের ভিত্তিতে আমরা জিন থেরাপি পরীক্ষা করতে পারি৷ চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন এক জগত৷ কারণ আমরা নির্দিষ্ট কোনো রোগীর রেটিনা নিয়ে কাজ করতে পারি৷’’

এই রোগী দৃষ্টিশক্তি প্রায় পুরোপুরি হারিয়েছেন৷ তাঁর দুরারোগ্য রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা রোগ হয়েছে৷ এর ফলে রেটিনার ভিশুয়াল রিসেপ্টর বিকল হয়ে পড়ে৷ নতুন জিন থেরাপি আংশিকভাবে হলেও সেই রেটিনা আবার সক্রিয় করে তুলতে পারে৷

ফ্লোরিয়ান ফাই/এসবি