1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনশন উঠলেও আন্দোলন চলবে, দাবি চিকিৎসকদের

২২ অক্টোবর ২০২৪

সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ১৭ দিন ধরে চলা অনশন তুললেন জুনিয়র ডাক্তররা। মঙ্গলবার সর্বাত্মক ধর্মঘটও স্থগিত।

https://p.dw.com/p/4m4jv
১৭ দিন পর অনশন তুললেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা
অনশন তুলে নিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তররাছবি: Satyajit Shaw/DW

গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররাও সেখানে এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। সোমবার রাতে তারাও অনশন তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসাক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছিলেন জুনিয়ররা। আপাতত সেই কর্মসূচিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে চলতি সপ্তাহেই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি পালিত হবে। শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই সমাবেশ থেকে আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, প্রশাসনের অনুরোধে নয়, মৃত তিলোত্তমরা বাবা-মায়ের অনুরোধেই তারা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। বস্তুত, এদিন সন্ধ্যায় অনশন মঞ্চে গেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাদের উপস্থিতিতেই এদিন অনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হয়।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মঙ্গলবার সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেয়ার পরও  তা থেকে পিছিয়ে আসা হলো। সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন, এমন কিছু তারা করতে চাইছেন না বলে ঘোষণা করেছেন তারা।

সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক হয় চিকিৎসকদের। বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, আলোচনায় তারা খুশি নন। যেভাবে এবং যে ভাষায় এদিন বৈঠকে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, তা অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছেন তারা। বস্তুত, এই দিনই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ হুমকি দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সার্বিক ধর্মঘট হলে, একজনও সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি হলে জুনিয়র ডাক্তারদের নামে এফআইআর করা হবে।

এদিনের বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তররা বলেছেন, বৈঠকের একাধিক বিষয় নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রধানদের এদিন একটি কথাও বলতে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত ক্ষমতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের নয়, সরকারের। সরকারের এই বক্তব্য অগণাতান্ত্রিক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি তাদের দাবি, থ্রেট কালচারের যে অভিযোগ তারা বার বার তুলছেন, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্য ইতিবাচক নয়।

সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনগুলিও জানিয়েছে, আন্দোলন এখনই বন্ধ হবে না। আগামীদিনে একের পর এক কর্মসূচি পালিত হবে। আলোচনার মাধ্যমে সেই কর্মসূচির কথা জানানো হবে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)