1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধের বলি ১০ হাজার

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

২০১৭ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধের বলি হয়েছেন ১০ হাজার মানুষ৷ এর একটা বড় অংশ শিশু এবং মহিলা৷ জাতিসংঘের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই ছবি উঠে এসেছে৷ 

https://p.dw.com/p/2sms6
আফগানিস্তানে মৃত্যু মিছিল
ছবি: Getty Images/AFP/N. Shirzada

ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ পেলো জাতিসংঘের সাম্প্রতিকতম সমীক্ষায়৷ সেখানে বলা হয়েছে, গত এক বছরে আফগানিস্তানে যুদ্ধের কারণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ৷ আহতের সংখ্যা অগুণতি৷ ২০১৬ সালের চেয়ে যা অন্ততপক্ষে ৯ শতাংশ বেশি৷ যদিও একইসঙ্গে রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, নিহতদের অধিকাংশই তালিবান এবং আইএস জঙ্গিদের আক্রমণের শিকার৷

পাখির মাঝে শান্তি খুঁজছে আফগানরা

বারাক ওবামার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আফগানিস্তান থেকে আস্তে আস্তে সৈন্য সরিয়ে নেবে অ্যামেরিকা৷ আক্রমণ প্রতিআক্রমণও খানিক কমেছিল৷ কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে জানিয়ে দেন, সৈন্য সরানোর তো প্রশ্নই নেই, বরং প্রয়োজনে সেদেশে আরো সৈন্য পাঠাবে অ্যামেরিকা৷ তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি থাকবে৷ প্রত্যু্ত্তর দেয় তালিবান এবং আইএস৷ আফগানিস্তানে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাতে শুরু করে তারা৷ এর জেরে নিহত হন অসংখ্য সাধারণ মানুষ৷ বিভিন্ন বিদেশি মানবতাবাদী সংস্থার দপ্তরেও হামলা চালানো হয়৷ মার্কিন সেনাও আক্রমণ জারি রাখে৷ নিয়মিত চলতে থাকে বিমানহামলা৷ আর এই সবকিছুর মধ্যে পড়ে প্রাণ হারান অসংখ্য সাধারণ মানুষ, যার একটা বড় অংশ মহিলা এবং শিশু৷

সমীক্ষা অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিমান হামলাতেই নিহতের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ নারী নিহতের সংখ্যা বেড়েছে গত বছরের চেয়ে ৫ শতাংশ৷ শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই নিহত হয়েছে ৮৬১ জন শিশু৷ আহত অন্তত ২৩১৮ জন৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৬ সালে মৃত্যু উপত্যকা খানিক স্বস্তি পেয়েছিল৷ ২০১৭ আবার পুরনো দিন ফিরিয়ে এনেছে৷ এই নিয়ে ৪ বছর আফগানিস্তানে বাৎসরিক নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছড়ালো৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির কাছে বিষয়টি রীতিমতো আশঙ্কার৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে আফগান নাগরিকেরা৷ যাঁরা দেশে থাকছেন, তাঁরা যুদ্ধের বলি হচ্ছেন৷ আর যাঁরা ভিন দেশে পালিয়ে যাচ্ছেন শরণার্থী হয়ে, তাঁদেরও আর সে সমস্ত দেশ রাখতে চাইছে না৷ কিছুদিন আগে জার্মানি বেশ কিছু শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে দেয়৷ পাকিস্তান আফগান নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার শমন জারি করেছে৷ সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সে দেশের সাধারণ মানুষ৷

এসজি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)