৯৯ বছর বয়সে 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ' জয়
কয়েকদিন পরেই বয়স হবে ১০০৷ শততম জন্মদিনটা স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন টম মুর৷ নিজের বাগানে শুরু করেছিলেন কঠিন এক যুদ্ধ৷ ছবিঘরে তার সেই যুদ্ধ জয়ের গল্প...
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীরের নতুন 'যুদ্ধ'
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন টম মুর৷ ৯৯ বছর বয়সে নতুন এক 'যুদ্ধ' শুরু করে এই প্রথম সাড়া জাগালেন সারাবিশ্বে৷ ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে, তাদের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহ করতে নিজের বাগানে ১০০ বার হাঁটার ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘হিপের (নিতম্ব) হাড় ভেঙে গেলেও আমি থামবো না৷’’
যাদের প্রতি কৃতজ্ঞ
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা টম মুর বৃটেনের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ৷ জীবনে নানা সময়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাকে৷ দারুণ সেবা পেয়েছেন সব সময়৷ একবার হিপের হাড় ভেঙে যাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীর খুব আন্তরিক সেবা দিয়ে সারিয়ে তুলেছিলেন তাকে৷ এবার ঋণ পরিশোধের পালা৷ শতবর্ষ পূর্তির আগে তাই রেডফোর্ড শায়ারের বাড়ির বাগানে হেঁটে পাঁচ লাখ পাউন্ড সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন তিনি৷
তার পাশে লাখো মানুষ
হিপের হাড় ভাঙার পর থেকে ওয়াকার ছাড়া হাঁটতে পারেন না 'ক্যাপ্টেন টম'৷ ২৫ মিটার দীর্ঘ বাগানে ৯৯ বছর বয়সে একশ' বার হাঁটতে বুকের পাটা লাগে৷ সেই সাহস আছে বলেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন৷ সাহসী এই অশীতিপর বৃদ্ধের হাঁটা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সারা বিশ্বের মানুষ৷ তারা টাকা পাঠানোয় পাঁচ লাখ পাউন্ডের তহবিল সংগ্রহ করতে চেয়ে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করেন টম মুর৷ ছবিতে তরুণ বয়সের টম মুর৷
তবুও হাঁটছেন...
ভেবেছিলেন দশদিনে ১০০ বার হাঁটবেন৷ আশা ছিল এ সময়ে পাঁচ লাখ পাউন্ড উঠে যাবে এবং তাহলে আর হাঁটতে হবে না৷ কিন্তু সারা বিশ্বের মানুষের কাছে থেকে অভাবনীয় সাড়া পেয়ে 'ক্যাপ্টেন টম' খুব উজ্জীবিত৷ তার নতুন ঘোষণা, মানুষ চাইলে ১০০ বারের লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পরও তিনি হাঁটবেন৷
সবার নজর ৩০ এপ্রিলে
আগামী ৩০ এপ্রিল ১০০ বছর পূর্ণ হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারত এবং মিয়ানমারে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করা টম মুর৷ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার টম মুর তো 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে' জিতেই গেছেন, এখন শুধু শতবর্ষ পূরণের দিনে তাকে ‘হ্যাপি বার্থডে’ বলার অপেক্ষা৷ (ওপরের ছবিতে সেনাবাহিনীর পোশাকে তরুণ টম মুর৷)