1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৯১ বছর বয়সি এই দাদিকে দেখে সবাই অবাক

৩১ মে ২০১৮

৯১ বছর বয়সি এক দাদি আর তাঁর ২৫ বছর বয়সি নাতির ঘরোয়া একটি প্রতিযোগিতার ভিডিও দেখতে এখন অস্থির সবাই৷ দাদিকে দেখে আপনার চোখও নির্ঘাত কপালে উঠবে!

https://p.dw.com/p/2ygor
ছবি: Youtube/R. Smith

রস স্মিথ ৫ বছর আগে একটি ভিডিও করতে শুরু করে৷ সেই ভিডিওর একটি বাস্কেটবল শটের জন্যই তিনি দাদির দ্বারস্থ হন৷ দাদি পলিনের তখন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যাত্রা শুরু৷ তারপর থেকে তাঁর খ্যাতি তো আকাশচুম্বী৷

নাতি স্মিথ বলেন, ‘‘আমাদের মজা বিশ্বব্যাপী৷ সকলেই জানেন গ্র্যানি মজাদার৷’’ প্রথমদিকের ভিডিওগুলি ভাইরাল হলেও বাণিজ্যিকভাবে সেগুলো লাভজনক হচ্ছিল না৷ কারণ, তখন স্মিথ এমবিএ এবং ফুটবল খেলা নিয়ে ব্যস্ততার জন্য ভিডিওতে মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না৷ এরপর তাঁর মনে হয় দাদির সঙ্গে ভিডিও করলেই তিনি ভালো কাজ করতে পারবেন৷ তারপরই তিনি পাকাপাকিভাবে দাদির সঙ্গে কাজ শুরু করেন৷

কখনও দাদি আর নাতি ছোট্ট বল লক্ষ্যে ছুঁড়তে সফল, তো কখনও তারা পোষ্যদের খোঁজে দোকানে গিয়েছেন, এমনি মজাদার সব ভিডিও থেকেই ‘গ্র্যানি’ আজ দারুণ জনপ্রিয়৷

৯০টি বসন্তের রঙ তিনি দেখেছেন৷ ৯১ বছর বয়সে পৌঁছেও তাঁর মন এখনও তরুণ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তাঁর জনপ্রিয়তার আস্বাদ নেন চুটিয়ে৷ পথেঘাটে-দোকানে তাঁকে নিয়ে হইচই শুরু হয়৷ তাঁর বেশ মজাই হয় এটা দেখে৷

একটি বাণিজ্যিক সংস্থার কর্মকর্তা রাসেল স্কিনিডার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আসলে এখনকার দিনে দাদি আর নাতির মধ্যে এমন সম্পর্ক দেখাই যায় না৷ এ জন্যই তাঁদের ভিডিও লোকে এত পছন্দ করেন৷’’

কথাটা সত্যি৷ নাতি স্মিথও বলেন, ‘‘আজকাল অনেকেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের যথাযোগ্য সম্মান দেয় না৷ তখন আমিও সে দলেই পড়তাম৷ বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া মানেই ফুরিয়ে যাওয়া, একা থাকা নইলে নার্সিংহোমে থাকা৷ কিন্তু দাদির সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি বৃদ্ধদের জীবনটাও খুব রঙিন৷ তাঁরা ছোট ছোট জিনিসে খুব আনন্দ পায়, আমরা ব্যস্ততার জন্য যেগুলো দেখতেই পাই না, সেগুলো তাঁরা দেখেন ভালো করে৷’’

তাঁদের ভিডিওর জনপ্রিয়তা দেখে স্মিথ অবাক হয়ে যান৷ তাঁরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতে তাঁরা টেলিভিশনেও কাজ করবেন৷ নিউক্লিয়ার পরিবার, ইঁদুর দৌড়ের ভিড়েও যে সম্পর্ক হারিয়ে যায়নি, তারই প্রমাণ এই দাদি-নাতির ভাইরাল ভিডিও৷ ভাইরাল ভিডিওটি সমাজে সম্পর্কের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে৷

পিএস/এসিবি