৯০ বছরের জন্মদিনে সাবেক জার্মান প্রেসিডেন্ট ফন ভাইৎসেকার
১৫ এপ্রিল ২০১০ভাইৎসেকারের জন্ম স্টুটগার্ট শহরে ১৯২০ সলের ১৫ই এপ্রিল৷ শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকের এই পুত্র বড় হয়ে উঠেছেন বার্লিনের প্রাশান পরিবেশে, সুইজারল্যান্ডে আর ডেনমার্কে৷ পড়েছেন আইনশাস্ত্র৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাঁকে অন্যান্যদের মত লড়াই করতে হয়েছিল৷ হিটলারের নির্দেশে জার্মান সেনাবাহিনীর পোল্যান্ড অভিযানের দ্বিতীয় দিনেই তাঁর ভাই হাইনরিশ নিহত হন৷ নাৎসিদের শাসনামলে তাঁর বাবা এয়ার্নস্ট ফন ভাইৎসেকার ছিলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রসচিব৷ আর এই কারণে ন্যুর্নব্যার্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় তাঁকেও৷ বাবার পক্ষে উকিল হিসেবে কাজ করেন ভাইৎসেকার৷
রিশার্ড ফন ভাইৎসেকার খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দলের রাজনীতিক হিসেবে সাবেক পশ্চিম বার্লিনের শাসক মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হন৷ তবে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধে উঠতে দ্বিধা করেননি তিনি কখনও৷ আর এই কারণে তিনি দল মত ছাড়িয়ে মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন৷ দুটি মেয়াদ অর্থাৎ ১০ বছর (১৯৮৪ - ১৯৯৪) তিনি জার্মানির প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৮৫ সালে ৮ই মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার ৪০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়া তাঁর ঐতিহাসিক বলে চিহ্নিত ভাষণে রিশার্ড ফন ভাইৎসেকার বলেছিলেন: ‘‘৮ই মে ছিল নাৎসিদের হিংসার শাসনের মানবৈরী ব্যবস্থাযন্ত্র থেকে মুক্তির দিন৷''
একাধিক গ্রন্থের রচয়িতা তিনি৷ এ পর্যন্ত পেয়েছেন ২৭টি সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি৷ নব্বই বছরেও সুস্থ সবল মানুষ৷ মুখে তাঁর ব্যক্তিত্বের ছটা৷
১৯৮৬ সালে ভাইৎসেকার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন৷ এর আগে বা পরে কোন জার্মান প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে পা রাখেন নি৷ বন শহরে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন'এর হাতে জার্মানির বিশেষ সম্মান তুলে দিয়েছিলেন ভাইৎসেকার৷ আজ রিশার্ড ফন ভাইৎসেকার'এর ৯০তম জন্মদিন৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল থেকে শুরু করে রাজনীতি ও সমাজের শীর্ষ ব্যক্তিরা৷ আমরাও বলি, শুভ জন্মদিন হের ফন ভাইৎসেকার৷
প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন