৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন চায় লাল জামাধারীরা
২৩ এপ্রিল ২০১০হৈচৈ, হট্টগোল আর প্রতিবাদের মাঝেই ব্যাংককে লাল জামাধারীরা দিলেন নতুন এক ঘোষণা৷ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পেলে মাঠ ছাড়তে রাজি তারা৷ তবে সেক্ষেত্রে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রীসভা ভেঙে দিতে হবে৷ শুধু তাই নয়, তুলে নিতে হবে সেনা পাহারাও৷
অবশ্য বিক্ষোভকারীদের দিক থেকে এমন নরম সুর আসার খানিক আগেই কিন্তু শান্তির ইঙ্গিত দেয় সেনাবাহিনী৷ মানে থাই সেনা প্রধান আনুপং পোচিন্ডা জানান, ব্যাংককে প্রতিবাদকারীদের সরাতে কোন সেনা অভিযান চালানো হবেনা৷ কারণ এতে ভালোর চেয়ে ক্ষতি হবারই আশঙ্কা বেশি৷
বরং সেনাদেরকে জনগণের দেখভাল করতে বলেছেন তিনি৷ একইসঙ্গে বিক্ষোভকারী দু'দল যাতে সংঘর্ষ লিপ্ত হতে না পারে তাও দেখতে হবে সেনাবাহিনীকে৷
এদিকে, বৃহস্পতিবার ব্যাংককে পাঁচটি গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারায় কমপক্ষে ৩ জন, আহত ৮০ জনের বেশি৷ দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সুথেব থাউকসুবান এই ঘটনার জন্য দুষেছেন লাল জামাধারীদের৷ অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছিল যেখান থেকে, সেই এলাকাই কয়েক সপ্তাহ ধরে দখল করে আছে লাল জামাধারীরা৷
বলাবাহুল্য, উপপ্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে থাকসিন সমর্থক লাল জামাধারীরা৷ তবে, শুক্রবারও তাদেরকে দেখা গেছে টায়ার পুড়িয়ে রাস্তা দখল করে বিক্ষোভ করতে৷ তবে বড় ধরণের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি৷
সরকার বিরোধী এহেন বিক্ষোভ, আন্দোলনের কারণে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক ভ্রমণে নাগরিকদের প্রতি সতর্কতা জারি করেছে বিভিন্ন দেশ৷ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে৷ আর তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে অস্ট্রেলিয় নাগরিকদের থাইল্যান্ড ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে গত কয়েকদিন ধরে থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজেভার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে লাল জামাধারীরা৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক