৮৪-তে পা দিলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৩ আগস্ট ২০১০স্বাস্থ্যগত কারণে ২০০৬ সালে সাময়িকভাবে ক্ষমতা তুলে দেন ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে৷ এরপর নির্জনে চলে তাঁর চিকিৎসা৷ পরবর্তীতে এই স্বাস্থ্যের কারণেই দুই বছর পর স্থায়ীভাবে ক্ষমতা দিয়ে দেন ছোট ভাইকে৷ সেসময় ফিদেল কাস্ত্রো নিজেও স্বীকার করেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে৷
কিন্তু সেসবই এখন ইতিহাস৷ চিকিৎসার কারণে ধীরে ধীরে কাস্ত্রো এখন অনেকটাই সুস্থ৷ এবং সেটা এতটাই যে, গত মাস থেকে তিনি বিভিন্ন অনু্ষ্ঠানে অংশ নেয়া শুরু করেছেন৷ আর গত সপ্তাহেতো তিনি সংসদে বক্তব্যই দিলেন৷ আর এরপর থেকেই একটা বিষয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা শুরু হয়েছে৷ আর সেটা হলো, তিনি আবার ক্ষমতায় ফিরছেন কি না৷ বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে এটাই এখন অন্যতম গবেষণার বিষয়৷ কারণ সংসদে দেয়া মাত্র ১০ মিনিটের বক্তব্য ফিদেল কাস্ত্রো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন৷ এর মধ্যে রয়েছে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা সহ যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে নানান কথাবার্তা৷
তবে উল্টোটা ভাবার লোকও আছে অনেক৷ কারণ, ঐ বক্তব্যে ফিদেল জাতীয় কোন ইস্যু নিয়ে কথা বলেননি৷ এছাড়া প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সংসদের যে আসনটিতে তিনি বসতেন, এবার সেখানেও তিনি যাননি৷ আর তাঁর পরনে যে পোশাক ছিল, সেখানে ছিলনা কোন সামরিক চিহ্ন৷
এদিকে আরেকটি বিষয়ও ভাবিয়ে তুলছে বিশ্লেষকদের৷ আর সেটা হলো, ফিদেল কাস্ত্রো এখনও কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির ‘প্রথম সচিব' পদে আসীন৷ সে হিসেবে দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিও তিনি৷
আবার সংসদে যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন সাংসদরা যে তুমুল করতালিতে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে তাতে ফিদেল যে এখনো কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা প্রমাণ হয়৷ ফিদেলের এই আবির্ভাবে সাধারণ জনগণকেও উৎফুল্ল হতে দেখা গেছে৷
কিন্তু ফিদেল কাস্ত্রোর কী মত? সংসদে ভাষণ দেয়ার একদিন পর ভেনিজুয়েলার এক সাংবাদিকের কাছে তিনি নিজেই বলেছেন, এই মুহূর্তে তাঁর দায়িত্ব অনেকটা উপদেষ্টার মত৷
যাক সেসব কথা৷ শুরুটা করেছিলাম ফিদেলের জন্মদিন দিয়ে৷ তো আজ জন্মদিনে তিনি কী করবেন? সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা না গেলেও কাস্ত্রো সাধারণত কখনোই ঘটা করে জন্মদিন পালন করেননা৷ এবারও সেরকমই হতে পারে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন