৭৫ বছর ধরে পতাকা বানাচ্ছে হালদার পরিবার
তাদের বাড়িও জাতীয় পতাকার তিনরঙে সজ্জিত। প্রতি বছর লাখ লাখ পতাকা তৈরি হয় এই বাড়িতে, বংশপরম্পরায়। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেমনই এক পরিবারের গল্প ডিডাব্লিউয়ের ক্যামেরায়।
হালদার পরিবার
১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। সে বছরই প্রথম জাতীয় পতাকা তৈরি করেছিলেন নুরজামাত হালদার। সেই থেকে এই পরিবার পতাকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত। নুরজামাতের ছেলে রাজু পতাকা বানাচ্ছেন গত ৩০ বছর ধরে।
তিন রংয়ের বাড়ি
জাতীয় পতাকার তেরঙায় সেজেছে রাজু হালদারের বাড়ি। সারা বছর এমনই রং থাকে এই বাড়িতে।
লক্ষাধিক পতাকা
প্রতি বছর লাখ লাখ পতাকা তৈরি হয় এই বাড়িতে। বলা যায়, পতাকা তৈরির কারখানা। এই বছর তৈরি হয়েছে নানা আকারের প্রায় আড়াই লাখ পতাকা।
কারখানার অন্দরে
পতাকা তৈরি করছেন কর্মীরা। সেলাই করা হচ্ছে তিন রং।
ঘরময় পতাকা
গোটা ঘরে এভাবেই ছড়িয়ে থাকে পতাকার কাপড়। এই কাপড় থেকেই বিভিন্ন আকারের পতাকা তৈরি হয়।
যে কোনো কাপড়ে পতাকা
আগে পতাকা তৈরি হতো খাদির কাপড়ে। এবছর থেকে নিয়ম হয়েছে, পলিয়েস্টারেও পতাকা তৈরি করা যাবে।
অশোকচক্রের ছাপ
পতাকা তৈরির পর এভাবেই মাঝের সাদা অংশে অশোকচক্রের ছাপ মারা হচ্ছে। অশোকচক্র জাতীয় প্রতীক।
তিন রঙের অর্থ
ভারতের জাতীয় পতাকার একেবারে উপরে আছে গেরুয়া রং। যার অর্থ শৌর্য এবং ত্যাগ। মাঝের সাদা রং শান্তির বার্তা দেয়। সেখানেই আছে জাতীয় প্রতীক অশোকচক্র। আর একেবারে নীচে সবুজ রং সুজলা সুফলা দেশের প্রতীক।