1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

'২১ সালে ছয় শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্য চীনের

৫ মার্চ ২০২১

চীনে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস। সেখানেই জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3qEVs
চীন
ছবি: Yu Fangping/Costfoto/picture alliance

২০২০ সালে জিডিপির কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করেনি চীন। করোনার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছিল চীন সহ গোটা পৃথিবীতেই। ফলে চীন জানিয়েছিল, অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করাই তাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য। চীন একমাত্র দেশ, গত বছর যারা অর্থনীতিতে বৃদ্ধি দেখাতে পেরেছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে অর্থনীতির শুধু পতন হয়নি, জিডিপি শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছে। সেই অবস্থায় চীন জানিয়েছিল দুই দশমিক তিন শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছিল তাদের। শুক্রবার চীন জানিয়ে দিল, তাদের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। ফলে ২০২১ সালের জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে অন্তত ছয় শতাংশ।

শুক্রবারই চীনে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস শুরু হয়েছে। দেশের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই সম্মেলনেই নেওয়া হবে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। দশ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত এই সম্মেলন চলার কথা। সম্মেলন শুরুর আগে জানা গেছিল, কারখানাগুলিকে আরো পরিবেশবান্ধব কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হবে। ২০২১ এর অন্যতম টার্গেট হবে পরিবেশবান্ধব কারখানা।

তবে এদিন সম্মেলন শুরু হওয়ার পরেই চীনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং প্রথমে অর্থনীতি নিয়ে বলতে শুরু করেন। জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা জানানোর পাশাপাশি তিনি গত বছরের হিসেব দিয়েছেন। এবছরের মূদ্রাস্ফীতির পরিমাণও বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দেশের শহরাঞ্চলে ১১ মিলিয়ন নতুন কাজের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে সামরিক খাতে বাজেট সামান্য বৃদ্ধি করে ছয় দশমিক আট শতাংশ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা সামান্য বেশি।

গোটা পৃথিবী যখন করোনারকারণে অর্থনীতি নিয়ে বেসামাল, চীন তখন অর্থনীতি অনেকটাই গুছিয়ে নিতে পেরেছে। তবে বাণিজ্য ঘাটতির কারণে অর্থনীতি পুরোপুরি চাঙ্গা হতে পারেনি। পৃথিবীর বহু দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য কমেছে চীনের। একই সঙ্গে অ্যামেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। ফলে মার খেয়েছে বাণিজ্য।

তাইওয়ান, হংকং নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। দুই অঞ্চলেই ব্যাপক আন্দোলন চলছে। এদিন চীনের প্রিমিয়ার সে বিষয়েও দীর্ঘ বক্তৃতা করেছেন। জানিয়েছেন, কমিউনিস্ট সরকার 'এক চীন' নীতিতে বিশ্বাস করে। তাইওয়ান এবং সংলগ্ন সমুদ্রাঞ্চল যাতে নিরাপদে থাকে, চীন তা নিশ্চিত করবে। তাইওয়ানের উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্পের কথাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনো ভাবেই দেশদ্রোহ বরদাস্ত করা হবে না। চীন প্রশাসনের বক্তব্য, আন্দোলন দমন করা হবে। একই সঙ্গে তাইওয়ানের উন্নতিতে কাজ করা হবে।

হংকং নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর এই সম্মেলনের পরেই হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন বলবৎ হয়েছিল। তারপর থেকে দেশের বহু গণতন্ত্রপন্থি নেতা এবং ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)