২০১৫ সালের নোবেল বিজয়ীদের মাঝে আরেকজন
একটির পর একটি বিভাগে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে৷ বিজয়ীদের অনেকেই নীরব কর্মী, অথবা গবেষণায় মগ্ন বিজ্ঞানী, যাঁরা লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকেন, বিশ্বখ্যাতির আলোকে আসার আগে৷
অ্যাংগাস ডিটন
এবার অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান অর্থনীতিবিদ অ্যাংগাস ডিটন৷ ইনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক৷ সেখানে তিনি অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পড়ান৷ সোমবার রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অর্থনীতি বিভাগের নোবেল বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে৷ অ্যাকাডেমি জানায়, ‘ভোগ, দারিদ্র্য এবং কল্যাণ’নিয়ে বিশেষ গবেষণার জন্য ২০১৫ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারটি দেয়া হবে অধ্যাপক অ্যাংগাস ডিটনকে৷
উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল
চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল, ২০১৫৷ জন্ম আয়ারল্যান্ডে ১৯৩০ সালে৷ মার্কিন জীববিজ্ঞানী এবং পরজীবী বিশেষজ্ঞ৷ ‘রাউন্ডওয়র্ম’ নামধারী প্যারাসাইটের ফলে যে ইনফেকশন হয়, তার চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করেছেন৷ বর্তমানে ড্রু ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস রিসার্চ ফেলো৷
সাতোশি ওমুরা
মেডিসিনে নোবেল ২০১৫৷ জন্ম ১৯৩৫ সালে৷ জাপানি বায়োকেমিস্ট৷ কিতাসাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস৷ অ্যান্টি-প্যারাসাইট কমপাউন্ড অ্যাভারমেক্টিন যে স্ট্রেপ্টোমাইসেস স্ট্রেইন থেকে তৈরি হয়, তা আলাদা করতে সাহায্য করেছিলেন৷
তু ইউইউ
মেডিসিনে নোবেল ২০১৫৷ জন্ম ১৯৩০৷ চীনের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও ভেষজ রসায়ন বিজ্ঞানী৷ চীনের প্রথাগত ভেষজবিদ্যা থেকে আর্টেমিসিনিন ও ডিহাইড্রোআর্টেমিসিনিন তৈরি করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ম্যালেরিয়া রোগে প্রাণ হারানো থেকে বাঁচান৷
আর্থার বি ম্যাকডোনাল্ড
পদার্থবিদ্যায় নোবেল ২০১৫৷ জন্ম ১৯৪৩ সালে৷ ক্যানাডার অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট, সাডবেরি নিউট্রিনো অবজারভেটরি ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক৷ নিউট্রিনো নামের সাব-অ্যাটমিক পার্টিকল বা কণিকাগুলি যে তাদের প্রকৃতি বদলাতে পারে এবং নিউট্রিনোদের যে ‘মাস’ বা ওজন আছে, এই সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য নোবেল পেলেন ম্যাকডোনাল্ড৷
তাকাকি কাজিতা
পদার্থবিদ্যায় ২০১৫ সালের নোবেল পেলেন নিউট্রিনো সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য৷ ১৯৮৮ সাল থেকে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রেডিয়েশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্ত৷
টোমাস লিন্ডাল
রসায়নে নোবেল ২০১৫৷ জন্ম ১৯৩৮৷ ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের এমেরিটাস পরিচালক৷ দেখিয়েছেন যে, ডিএনএ আসলে একটি অতি ভঙ্গুর মলিকিউল এবং যে হারে ডিএনএ-র অবক্ষয় ঘটে, তা-তে পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ ঘটা সম্ভব ছিল না৷ ফলে লিন্ডাল ‘বেস এক্সিজন রিপেয়ার’ নামের একটি মলিকিউলার প্রণালী আবিষ্কার করেন, যা অবিরাম আমাদের ডিএনএ-কে মেরামত করে চলে৷
পল মড্রিচ
রসায়নে নোবেল ২০১৫৷ জন্ম ১৯৪৬ সালে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যের ডিউক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন-এ বায়োকেমিস্ট্রির অধ্যাপক৷ গবেষণা করে দেখান, দেহের কোষ কিভাবে বিভাজনের সময় ডিএনএ-র ভুলভ্রান্তি ঠিক করে নেয়৷
আজিজ সেঞ্চার
রসায়নে নোবেল ২০১৫৷ জন্ম ১৯৪৬ সালে তুরস্কে৷ নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রি ও বায়োফিজিক্স-এর অধ্যাপক৷ সাঞ্চার ‘নিউক্লিওটাইড এক্সিজন রিপেয়ার’ পদ্ধতি বর্ণনা করেন, যে পদ্ধতির মাধ্যমে কোষ তার ডিএনএ-তে অতিবেগুনি রশ্মি জনিত ক্ষতি সারিয়ে নিতে পারে৷
স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ
বেলারুসের এই ৬৭ বছর বয়সি বিতর্কিত লেখিকা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ২০১৫ সালে৷ টেপ রেকর্ড করা হাজার হাজার সাক্ষাৎকারকে সাহিত্যে পরিণত করে তিনি এক নতুন ধরনের রচনা সৃষ্টি করেছেন৷ লেখেন রুশ ভাষায়, বেলারুসে তাঁর বই বহুদিন নিষিদ্ধ ছিল৷ সর্বশেষ মন্তব্য: তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন, কিন্তু ‘স্ট্যালিন এবং পুটিন’-এর রাশিয়াকে নয়৷
টিউনিশিয়ার ‘‘ন্যাশনাল ডায়ালগ কোয়ার্টেট’’
২০১৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলো টিউনিশিয়ার ‘‘জাতীয় সংলাপ চতুষ্টয়’’, যারা ২০১১ সালের ‘‘জ্যাসমিন রেভোলিউশন’’-এর পর টিউনিশিয়ায় বহুদলীয় গণতন্ত্র স্থাপনে বিশেষ অবদান রেখেছে৷ তথাকথিত ‘‘আরব বসন্তের’’ সূচনা হয় টিউনিশিয়ায়৷