1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন নাভ্রাতিলোভা

১৩ ডিসেম্বর ২০১০

মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা – টেনিসের সাবেক সম্রাজ্ঞী৷ অসম্ভব মারকুটে মেজাজ৷ অদম্য জীবনীশক্তি৷ তা না হলে, একের পর এক বাধা এভাবে অতিক্রম করতে তিনি হয়তো পারতেন না৷ স্বপ্নেও না৷

https://p.dw.com/p/QWq3
মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাছবি: AP

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়৷ স্তনের ক্যান্সারের মতো অসুখকেও জয় করেছিলেন মার্টিনা৷ কিন্তু সেখানেই তাঁর অসম্ভবকে সম্ভব করার ইচ্ছে চলে যায় নি৷ সম্প্রতি একটি ক্রীড়া সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও সচেতনতামূলক কাজের অংশ হিসেবে তিনি পর্বতে ওঠার চেষ্টা করছিলেন৷ তাও আবার যে সে পর্বত নয়, জয় করতে চেয়েছিলেন ৫ হাজার ৮৯৫ মিটার উঁচু কিলিমাঞ্জারো পর্বতশৃঙ্গ৷

কিন্তু না, সেই কাজে শেষ পর্যন্ত সফল হন নি তিনি৷ কারণ সেই পর্বতমালা অতিক্রম করার সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন টেনিস জগতের এই ‘আইকন'৷ খবরে প্রকাশ, সাড়ে চার হাজার মিটার উচ্চতায় যাওয়ার পর, ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় কেনিয়ার একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়৷ ডাক্তার ডেভিড সিলভারস্টেন জানান, সময় লাগলেও সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি৷

হ্যাঁ, হয়েছেও ঠিক তাই৷ তিন দিনের মাথায়, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৪ বছর বয়েসি এই টেনিস গ্রেট৷ নাভ্রাতিলোভার কথায়, ‘‘কিছুটা হতাশ হলেও মজাই পাচ্ছি৷ কাজটা শুরু করেছিলাম, পারিনি৷ তবে আমি ছেড়ে দেব না৷ দ্রুত ফিরব সংগঠনের কাজে৷''

অবশ্য এখানেই শেষ নয়, ১৮টি গ্রান্ড স্ল্যাম জয়ী এই তারকার কিন্তু স্বাস্থ্য আগের মত না থাকলেও, ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট'টা এক্কেবারে অক্ষত রয়েছে৷ তাই হাসপাতালে বসেই দলের বাকি সদস্যদের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি৷ আর তাতে ফলও হয়েছে ! নাভ্রাতিলোভার বাড়ি ফেরার আগেই, আফ্রিকার উচ্চতম এই পর্বশৃঙ্গ জয় করেছেন তাঁর দলের বাকি সাথীরা৷ এটা কি খুব কম বড় সুখবর ?

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক