1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামবুর্গ বিমানবন্দরে নতুন বডি স্ক্যানার

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০

ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বডি স্ক্যানার বসানোর প্রসঙ্গ উঠেছিল অনেক দিন আগেই৷ আজ থেকে জার্মানির হামবুর্গ বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হল এই নতুন বডি স্ক্যানার৷ জার্মানিতে এই প্রথম৷

https://p.dw.com/p/PNlw
নতুন বডি স্ক্যানারে প্রথম দিনে নিজেই প্রবেশ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীছবি: DPA

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের নিজেই নিজের বডি স্ক্যানিং করে সবাইকে উৎসাহিত করলেন৷ দেমেজিয়ের বললেন, ‘‘ আমি বিশ্বাস করি যে, এই বডি স্ক্যানার প্রতিটি মানুষকে নিরাপদে চলাফেরায় সাহায্য করবে৷ একই সঙ্গে যে সব জায়গায় এই স্ক্যানার বসানো হচ্ছে সেই জায়গাগুলো বিপন্মুক্ত থাকবে৷ এই বডি স্ক্যানার নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে৷''

হামবুর্গ বিমানবন্দরে আজ থেকেই প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হল এই নতুন বডি স্ক্যানার৷ কীভাবে কাজ করে এই বডি স্ক্যানার ? একটি গ্লাসের সিলিন্ডারের মধ্যে আপনাকে ঢুকে পড়তে হবে৷ না, হামাগুড়ি দিয়ে নয় সোজা হেঁটেই ঢোকা যাবে৷ তিন সেকেন্ড হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে৷ ব্যাস! মেশিন আপনার শরীর স্ক্যান করা শুরু করবে৷ কাপড় খোলার প্রয়োজন নেই৷

Nacktscanner / Körperscanner / Flughafen / Amsterdam
ঠিক এভাবেই গ্লাস সিলিন্ডারের মধ্যে দাঁড়াতে হবেছবি: AP

সঙ্গে যদি কোন ধাতু বা তরল পদার্থ থাকে তাহলে বডি স্ক্যানারে তা ধরা পড়বে৷ জার্মান পুলিশ লুবেক শহরে প্রায় এক বছর ধরে এই বডি স্ক্যানিং মেশিন পরীক্ষা করেছে৷ অস্ট্রিয়াও এখন এই মেশিনগুলো পরীক্ষা করে দেখছে৷

তবে হামবুর্গ বিমানবন্দরে এই মেশিনে শরীর স্ক্যানিং করা এখনো বাধ্যতামূলক নয়৷ স্বেচ্ছায় যে কেউ চাইলে স্ক্যানিং মেশিনে প্রবেশ করতে পারে৷ নতুন এই মেশিনে এক্স-রের মত শরীর চোখে পড়বে না৷ কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখা যাবে না৷ দেখা যাবে শুধু শরীরের অবয়ব৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য,‘‘ আমাদের জন্য এই স্ক্যানার বসানো খুবই জরুরি ছিল৷ তবে এই স্ক্যানারে কারো নগ্ন শরীর দেখা যাবে না৷ কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চোখে পড়বে না৷ নতুন এই বডি স্ক্যানারে শুধু শরীরের একটি অবয়ব আসবে৷''

Flughafen Fuhlsbüttel
বিমান বন্দর বিপদমুক্ত রাখাই মূল উদ্দেশ্যছবি: picture-alliance/dpa

নতুন এই বডি স্ক্যানারের দাম মাত্র দেড় লক্ষ ইউরো৷ এই বডি স্ক্যানার বসানোর মূল লক্ষ্য হল বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা বাড়ানো৷ বিমানবন্দর এলাকা বিপদমুক্ত রাখা৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন