1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাশ্রয় হওয়া বেআইনি

কেনো ফেরসেক/এসি৭ অক্টোবর ২০১৩

নতুন আইনে রাস্তায় যাদের বাস, এমন মানুষদের প্রকাশ্য স্থানে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে হাঙ্গেরিতে৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বানের সরকার নিরাশ্রয় মানুষদের ‘স্কেপগোট’ হিসেবে ব্যবহার করছেন, এমনটাই বলছে সুশীল সমাজ৷

https://p.dw.com/p/19u7u
নিরাশ্রয়-ভবঘুরেদের প্রকাশ্য স্থানে ‘‘বাস করা'' নিষিদ্ধ করা হয়েছেছবি: imago/Hoch Zwei/Angerer

প্রথমে যেটা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেটা ছিল আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া খাবারদাবারের খোঁজ করা৷ তারপর বিশেষ বিশেষ প্রকাশ্য স্থানে নিরাশ্রয়-ভবঘুরেদের থাকাটা নিষিদ্ধ করা হয়৷ তারপরে আসে ‘বাল্কি ওয়েস্ট', অর্থাৎ ফেলে দেওয়া আসবাব-পত্র ইত্যাদি কুড়িয়ে নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা৷

ভিক্টর অর্বানের জাতীয়তাবাদী-রক্ষণশীল সরকার বিগত কয়েক বছর ধরেই নিরাশ্রয়-ভবঘুরেদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন৷ গোড়ায় সাংবিধানিক আদালত একাধিকবার তাঁকে নিরস্ত করেছিল৷ কিন্তু অর্বানের দল গত মার্চে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সাংবিধানিক আদালতকেই নিরস্ত করার পর এবার আরেকটি প্রচেষ্টা নিচ্ছে অর্বান সরকার৷ গত সপ্তাহে বুদাপেস্ট সংসদ সেই পুরনো আইনের একটি নতুন সংস্করণ পাস করেছে: এবার নিরাশ্রয়-ভবঘুরেদের প্রকাশ্য স্থানে ‘‘বাস করা'' নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এই আইন ভঙ্গ করলে নিরাশ্রয়দের ফাইন থেকে শুরু করে সমাজকল্যাণমূলক সেবার দণ্ড হতে পারে৷

Viktor Orban
প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বানছবি: Reuters

এই আইনের বিরোধিতা করেছে এবং করছে হাঙ্গেরির একাধিক এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠন৷ তাদের যুক্তি, এভাবে নিরাশ্রয়দের অপরাধীতে পরিণত করা হচ্ছে, যা কিনা সংবিধানের বিরোধী এবং অগ্রহণযোগ্য৷ নতুন আইনে নিরাশ্রয়তাকেই দণ্ডনীয় করা হচ্ছে, বলে ধ্বনি তুলেছে তারা৷ যে দেশে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ স্রেফ দারিদ্র্য অথবা অসাফল্যের কারণে পথে বাস করতে বাধ্য হয়, সেখানে এ ধরনের আইনের কোনো স্থান নেই, বলছে তারা৷ সরকার নিরাশ্রয়দের জন্য আবাস তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বটে, কিন্তু একা বুদাপেস্টেই যখন দশ থেকে পনেরো হাজার নিরাশ্রয়দের জন্য আবাসগুলিতে মাত্র ছ'হাজার আসন রয়েছে, তখন এই প্রতিশ্রুতি গোড়া থেকেই অপর্যাপ্ত৷

সরকার বলছে, ট্যুরিস্টরা যে সব জায়গায় যায়, সে সব জায়গা থেকে নিরাশ্রয়-ভবঘুরেদের দূরে রাখাটাই এই আইনের একমাত্র উদ্দেশ্য৷ কিন্তু বিরোধীদের দৃষ্টিতে সরকার দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে নয়, দরিদ্রদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছেন৷ দেশের সামাজিক দুরবস্থার দিক থেকে মানুষের নজর ফেরানোর জন্য সরকার ‘স্কেপগোট' বা দোষ দেবার পাত্র খুঁজছেন এবং নিরাশ্রয়-ভবঘুরে, রোমা উপজাতির মানুষ ও উদ্বাস্তুদের সেই পর্যায়ে ফেলেছেন – এই হলো অভিযোগ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য