হাইতির রাজধানীতে কলেরা, মহামারি চলবে কয়েক বছর
১০ নভেম্বর ২০১০রাজধানীতে কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে
ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর হাইতি এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি৷ তার ওপর কলেরার বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে দেশজুড়ে৷ পরিস্থিতি যেখানে গেছে তাতে রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সেও মঙ্গলবার পৌঁছে গেছে কলেরা৷ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে আরও দ্রুত৷ রাজধানীতে গতকাল ৭৩ জন কলেরা আক্রান্তের চিকিৎসা শুরু হয়েছে৷ ডাক্তারদের এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আশঙ্কা, ভূমিকম্প বিদ্ধস্ত রাজধানীতে অচিরেই আরও ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়বে কলেরা এবং পুরোদস্তুর মহামারি রূপেই৷
কী বলছে হাইতির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়
হাইতির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে পুরো পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানান, এ পর্যন্ত ৫৮৩ জন মানুষ কলেরায় মারা পড়েছে৷ গোটা দেশে নয় হাজারেরও বেশি কলেরা রোগীর চিকিৎসা চলছে৷ রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার৷ বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ ভূমিকন্পে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর পরিকাঠামোর হাল মেরামত করে ওঠার আগেই এসে গেছে এই কলেরার হামলা৷ ফলে রাজধানীতে বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে কলেরার প্রাদুর্ভাব৷ এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মানার এবং নিকাশি পরিকাঠামোর সমস্যা তো আছেই৷ যা যেকোন রোগের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে৷ এই কারণেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেনরি সংবাদিকদের বলেছেন, কলেরা ধেয়ে আসছে রাজধানীর দিকে৷
আগামী কয়েক বছর চলবে এই পরিস্থিতি
সেরকমই আশঙ্কা করছে হাইতিতে হাজির ত্রাণসংস্থাগুলি৷ বিশেষ করে প্যান অ্যামেরিকান হেল্থ অর্গানাইজেসন বা সংক্ষেপে পাহোর তরফে সংস্থার নির্দেশক কিম অ্যান্ড্রুজ সংবাদসংস্থা এএফপি-র কাছে জানিয়েছেন, যেরকম পরিস্থিতি তাতে রাজধানী সহ হাইতি জুড়ে কলেরা মহামারীর বিরুদ্ধে লম্বা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পাহো লহ অন্যান্য সবগুলি ত্রাণসংস্থা এবং চিকিৎসকরা৷ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অ্যান্ড্রুজের যুক্তি, পরিকাঠামো, পানীয় জল, ওষুধের সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যবিধির অভাবে এটা এখন স্পষ্ট যে আগামী কয়েক বছর এই কলেরা মহামারী পরিস্থিতি চলতেই থাকবে হাইতিতে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা