1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন: যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন প্রত্যাহার

১৬ জুন ২০২০

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

https://p.dw.com/p/3dq8Z
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Locher

সোমবার ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) তাদের ওই অনুমোদন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়৷

এফডিএ গত মার্চে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতালে জরুরি প্রয়োজনে ম্যালেরিয়ার দুই ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল৷ দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও এই ওষুধের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালান৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রাণঘাতী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সর্তক করলেও ট্রাম্পতা কানে না তুলে উল্টো বলেন, গত মে মাসে হোয়াইট হাউজের দুই কর্মীর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের পর প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে তিনি নিজে দুই সপ্তাহ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন করেছেন এবং তার শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি৷

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে এই দুই ওষুধের ব্যবহারও বেড়ে গিয়েছিল৷

কিন্তু এখন এফডিএ বলেছে, নানা পরীক্ষায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে কোভিড রোগীদের কোনো উন্নতি না হওয়ার অনেক প্রমাণ তারা পেয়েছেন৷ বরং এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যায়৷

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে হৃদযন্ত্রের গতি দ্রুত এবং অনিয়মিত হয়ে পড়ে৷ ফলে যারা আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের প্রাণহানি হতে পারে৷

এ বিষয়ে এফডিএ বলে, অন্যরোগের চিকিৎসায় কয়েক দশক ধরে ব্যবহৃত এ ওষুধের কার্যকর প্রভাব কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে প্রমাণিত নয়৷

‘‘যে ওষুধের কার্যকারিতা এখনও প্রমাণিত নয় কিন্তু ঝুঁকি নিশ্চিত৷ আমরা জেনে-বুঝে সেটা ব্যবহার করতে পারি না৷’’

এডিএ-র এ সিদ্ধান্তের অর্থ, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি করা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বিতরণ বন্ধ থাকবে৷

অথচ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরপরই ট্রাম্প এ ওষুধের পক্ষে জোর প্রচার চালান৷ এমনকি তিনি চাপ দিয়ে ভারত থেকে ওষুধ আমদানির ব্যবস্থাও করেন৷ ট্রাম্প প্রশাসনের দেখাদেখি অন্যান্য দেশও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার শুরু করে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রথমে এ ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়ে পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়৷

অনুমোদন প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে সংস্থাটি মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের কথা উল্লেখ করে৷ ওই গবেষণায় দাবি করা হয়, ওষুধটি কিছু রোগীর হৃদরোগের সমস্যা ও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে৷

কিন্তু পরে উপাত্তে গুরুতর ত্রুটি আছে বলে ল্যানসেট গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহার করে নিলে ডাব্লিউএইচও আবার পরীক্ষা শুরুর অনুমতি দেয়৷

এসএনএল/(এএফপি, এপি, রয়টার্স)