হলিউডের চোখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা
যুগে যুগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের দেখা গেছে রূপালি পর্দায়৷ তাঁদের নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র, টিভি-শো৷ দেখে নেয়া যাক রূপালি পর্দার মার্কিন প্রেসিডেন্টদের৷
পর্দার নিক্সন
যুক্তরাষ্টের ৩৭তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে নিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি নির্মাণ করা হয়েছে৷ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নিক্সন’৷ অলিভার স্টোন পরিচালিত ওই ছবিতে নিক্সনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স৷
নির্বাক যুগ থেকে...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনকে নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্রটি হয়েছিল নির্বাক ছবির যুগে৷ তবে যে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ছবি হয়েছে, তিনি কিন্তু ওয়াশিংটন নন৷ রূপালি পর্দায় সবচেয়ে বেশিবার উপস্থাপন করা হয়েছে আব্রাহাম লিঙ্কনকে৷ ওপরের ছবিটিও লিঙ্কনকে নিয়ে তৈরি ‘ইয়াং মিস্টার লিঙ্কন’ চলচ্চিত্রের৷ এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩৯ সালে৷
স্পিলবার্গের লিঙ্কন
প্রখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনকে নিয়ে ‘লিঙ্কন’ ছবিটি করেছিলেন ২০১২ সালে৷ সেই ছবিতে লিঙ্কন হয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা ড্যানিয়েল ডে-লুইস৷
লোক হাসানো প্রেসিডেন্ট
চলচ্চিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের সাধারণত গুরুগম্ভীর নায়কের মতোই তুলে ধরা হয়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রসিক মানুষ হিসেবে চলচ্চিত্রে খুব একটা পাওয়া যায়নি৷ তবে ‘নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম’ ছবিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টকে সেভাবেই তুলে ধরা হয়েছে৷
যুদ্ধপরিস্থিতে প্রেসিডেন্ট
২০০১ সালে ফ্রাঙ্কলিন ডেলানোর ‘পার্ল হারবার’ ছবিতেও দেখা গেছে রুজভেল্টকে৷ তবে সেখানে তিনি ছিলেন গুরুগম্ভীর, কেননা, ছবিটি তৈরি হয়েছে ১৯৪১ সালে জাপানের হাওয়াই আক্রমনের পটভূমিতে৷
প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় গ্যারি সিনিসে
রুজভেল্টের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন হ্যারি এস. ট্রুম্যান৷ ১৯৯৫ সালে তাঁর জীবনী নিয়ে তৈরি হয়েছিল টিভি-শো ‘ট্রুম্যান’৷ সেখানে নাম ভূমিকায় ছিলেন গ্যারি সিনিসে৷
প্রেসিডেন্ট যখন পার্শ্বচরিত্র
সব ছবিতে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়নি৷ ২০০০ সালের ‘থার্টিন ডেজ’ ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৬২ সালের কিউবার মিসাইল সংকটের ঘটনা৷ সেখানে প্রসিডেন্ট জন এফ কেনেডির উপদেষ্টা কেনি ও’ডোনেলই ছিলেন মুখ্য চরিত্র৷ তাঁর চরিত্রটি রূপায়ন করেছিলেন কেভিন কস্টনার৷ অথচ ব্রুস গ্রিউডের অভিনয়ে কেনেডিকে দেয়া হয়েছিল পার্শ্ব চরিত্রের গুরুত্ব৷
সাংবাদিকের নিক্সন
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে বহুবার বহুভাবে দেখা গেছে চলচ্চিত্রে৷ ২০০৮ সালের ‘ফ্রস্ট/নিক্সন’ ছবিতে একটি সাক্ষাৎকারে দেখা যায় নিক্সনকে৷ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ডেভিড ফ্রস্ট৷
এলভিস এবং নিক্সন
‘রক এন রোল’ কিংবদন্তি এলভিস প্রিসলি একবার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন নিক্সনের সঙ্গে দেখা করতে৷ তাঁদের সেই সাক্ষাত নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘এলভিস অ্যান্ড নিক্সন’৷ সেখানে নিক্সন হয়েছেন কেভিন স্পেসি৷
কাল্পনিক প্রেসিডেন্ট
‘এলভিস অ্যান্ড নিক্সন-’এ প্রেসিডেন্ট নিক্সন হলেও ‘হাউস অফ কার্ডস’ নামের আরেকটি ছবিতে অন্য এক প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় দেখা যায় স্পেসিকে৷ সেখানে ছিল ফ্রান্সিস আন্ডারউড নামের কাল্পনিক এক প্রেসিডেন্ট৷ তাকেই ফুটিয়ে তুলেছেন স্পেসি৷