হরতালে মোবাইল কোর্টের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মানবাধিকার নেতারা
১৩ জুন ২০১১অর্থাৎ, কারুরই মানবাধিকার লংঘিত হয়নি এবং বিরোধী দল হরতালের নামে ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারেনি৷ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন৷
বিরোধী দলের ৩৬ ঘন্টা হরতালে এবারই প্রথম মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে নামে৷ বিএনপি'র দাবি, মোবাইল কের্টের মাধ্যমে তাদের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তারা৷ আর মনবাধিকার নেত্রী এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল হরতালে মোবাইল কোর্টের ব্যবহারের বিরোধিতা করে বলেছেন, এতে মানবাধিকার লংঘিত হয়েছে৷ কারণ যাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে, তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়নি৷
রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সংসদে বলেছেন, মোবাইল কোর্টের কারণে মানবাধিকার লংঘিত হয়নি, বরং সাধারণ মানুষের মানবাধিকার রক্ষা পেয়েছে৷ এবং বিরোধী দল ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারেনি৷ তিনি বলেন, মেবাইলকোর্ট আইন সংসদেই পাশ হয়েছে৷ আর সেই আইন অনুযায়ী, হরতালে মোবাইল কোর্ট কাজ করেছে৷
এদিকে হরতালের প্রথমদিনে আটক বিএনপি'র সাবেক দুই মন্ত্রী আলাতাফ হোসেন চৌধুরী এবং হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কারগারে পাঠান হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ