সংখ্যালঘু নেতার উপর হামলা
২৫ নভেম্বর ২০১৫অলোক সেনের বাড়ি ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুর এলাকায়৷ তাঁর স্ত্রী শিখা ঘোষ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে আমার স্বামীকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায়৷ এর কিছুক্ষণ পরই আমি চিৎকার শুনি৷ দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি বাড়ির সামনেই তাকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করছে৷ এর মধ্যে আমার দু'একজন আত্মীয়স্বজনও বেরিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়৷''
অলোক সেন হাতে গুরুতর জখম হয়েছেন৷ তাঁকে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ অস্ত্রোপচারের পর এখন তাঁকে চিকিৎসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন৷
স্ত্রী শিখা ঘোষ জানান, ‘‘তাঁর কোনো শত্রু আছে বলে আমাদের জানা নেই৷ তাই এখনো ধারণা করতে পারছিনা ঠিক কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত৷ হামলাকারী ছিল দু'জন৷''
তিনি আরো জানান, ‘‘আমরা এখনো মামলা করিনি৷ পুলিশ কী করছে জানিনা৷ কারণ পরিবারের সবাই আমরা ঢাকায় চলে এসেছি৷''
এদিকে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাসগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমি অলোক সেনের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি৷ তিনি আমাকে জানিয়েছেন অলোক সেনের সঙ্গে তার এর মধ্যে যেটুকু কথা হয়েছে তাতে তিনি দু'জন হামলাকারীর কথা বলেছেন এবং তাঁকে চাপাতি দিয়ে কোপান হয়েছে৷ তিনি বলেছেন তাদের দেখলে চিনতে পারবেন৷ তারা একদিন আগেও তাঁর বাসায় এসেছিল৷''
রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘তাঁকে নিশ্চিতভাবেই হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছিল৷ তাঁর স্ত্রী এগিয়ে যাওয়ায় তিনি বেঁচে যান৷ আমরা এটা নিয়ে কোন ব্লেম গেম খেলতে চাইনা৷ আমরা চাই সরকার সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনুক৷''
এদিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘ঘটনার পর পরই হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং আটকের চেষ্টা চলছে৷ তবে অলোক সেনের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো মামলা করেনি৷''