হজের আদ্যোপান্ত
শুরু হয়েছে হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা। ঈদুল আজহার দিন পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
হজের আনুষ্ঠানিকতা
হিজরি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত হজের অনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় মুসলমানদের৷
কাবা ঘিরে প্রার্থনা
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা কাবাকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান বলে মনে করেন৷ ফলে এই কাবার দিকে মুখ করেই প্রার্থনায় রত থাকেন তাঁরা৷
হজের প্রথম দিন
ঐতিহ্যগতভাবে মক্কায় ওমরাহ পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হজের আনুষ্ঠানিকতা৷ সারা বছরই ওমরাহ পালন করা যায়৷
হজের দ্বিতীয় দিন
মিনা উপত্যকায় রাত যাপনের পরদিন মক্কা থেকে ২০ কিলোমিটার পূর্বদিকে আরাফাত ময়দানে যেতে হয় হজযাত্রীদের, যেখানে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন মহানবী (সা.)৷ এরপর শেষ বিকেলে প্রায় নয় কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হয় মুজদালিফায়৷
হজের শেষ তিন দিন
হজের শেষ তিন দিনে থাকে তিনটি আনুষ্ঠানিকতা৷ শেষবারের মতো কাবা প্রদক্ষিণ এবং মিনায় পাথর নিক্ষেপ করে বিশেষ পোশাক ইহরাম খুলে ফেলতে হয়৷ এসময় পুরুষরা সাধারণত মাথার চুল ফেলে দেন এবং নারীরা তাঁদের চুল ও মাথা ঢেকে রাখেন৷ হজের শেষ দিনে কোরবানি করে মাংস গরীব-দুঃখীদের বিলিয়ে দেয়া হয়৷
হজের সময় বারণ
হজ পালনের সময় কোনো পুরুষের জন্য সহবাস, চুল, নখ, গোঁফ, বগল নাভির নীচে শেভ করা, সেলাই করা পোশাক না পরা, সুগন্ধি ব্যবহার এবং কোনো কিছু শিকার করা হারাম৷
এসআই/এসিবি (এপি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)